ধরাধরপুরে ঈদুল আজহার জামাত পড়ার ঘোষণা দেওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা

সিলেট সান ডেস্ক:: || ২০২৩-০৬-২৬ ০৯:৩৮:৫৯

image

দক্ষিণ সুরমার পশ্চিম ধরাধরপুর মসজিদের মুতাওয়াল্লিসৈয়দ সৈয়দ মাহবুব ই জামিলের স্বেচ্ছাচারিতা এবং মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত পড়ার ঘোষণা দেওয়ায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। যেকোন সময় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

বিষয়টি নিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে রোববার (২৫জুন) স্বারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ধরাধরপুর গ্রামে চারটি পঞ্চায়েত রয়েছে। এই চারটি পঞ্চায়েতের লোকজন যুগযুগ ধরে স্থানীয় বাঘের বাড়ি শাহি ইদগাহে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লি সৈয়দ মাহবুব ই জামিল তার একক সিদ্ধান্তে উক্ত মসজিদে আসন্ন ইদুল আজহার জামাত পড়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ, অসন্তোষ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

এতে এলাকায় শান্তি ভঙ্গ ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা বিরাজ করছে। তাই এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রামবাসী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন। স্বারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বাঘের বাড়ি শাহি ইদগাহ অত্যন্ত প্রাচীন।

এই ইদগাহে চারটি পঞ্চায়েতের লোকজন দুই ঈদের নামাজ আদায় করে আসলেও এতদিন এই নিয়ে কেউ কখনো কোনো আপত্তি করেনি। পশ্চিম ধরাধরপুর মসজিদের মুতাওয়াল্লি সৈয়দ মাহবুব ই জামিল গত ২৩ এপ্রিল জুমআর নামাজের পর হঠাৎ মসজিদের মাইকে ঘোষণা করেন যে, আগামীকাল সকাল সাড়ে ৮টায় মসজিদে ইদুল ফিতরের নামাজের জামাত হবে।

পশ্চিম ধরাধরপুর পঞ্চায়েত কমিটি এমনকি পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদ কমিটির সাথেও তিনি মসজিদে ঈদের জামাত পড়ার কোনো আলোচনা না করেই সম্পূর্ণ এককভাবে এই ঘোষণা দেন। এর ফলে স্বাভাবিক কারণেই মসজিদে আগত মুসল্লি ও মসজিদ কমিটর সদস্যরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাদের সম্মিলিত প্রতিবাদের ফলে মসজিদের মুতাওয়াল্লির এই ঘোষণা ভেস্তে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে সৈয়দ মাহবুব ই জামিল পুনরায় এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু করেন।

গত ১৯ মে শুক্রবার বাদ এশা তিনি আসন্ন ইদুল আজহার জামাত পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে বলে মসজিদে ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণার ব্যাপারে মসজিদ কমিটি ও পঞ্চায়েত কমিটির কেউ কিছুই জানেন না। তার এহেন স্বেচ্ছাচারমূলক ঘোষণার ফলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

এই পরিস্থিতিতে মসজিদ কমিটির সদস্যরা এলাকায় শান্তি ও ঐক্য রক্ষার স্বার্থে সৈয়দ মাহবুব ই জামিলকে ৪ জুন বৈঠকে বসার অনুরোধ করেন। তিনি বৈঠকে বসতে সম্মতি দিলেও মসজিদে ঈদের জামাত হবে বলে জানিয়ে দেন। এর ফলে মসজিদ কমিটির সাথে তার মতবিরোধ দেখা দেয়।

পরবর্তীকালে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ধরাধরপুর এলাকার পাঁচটি পঞ্চায়েতের মুরুব্বিগণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ গত ৯ জুন বৈঠক আহ্বান করেন। এই সভায় মসজিদের মুতাওয়াল্লি সৈয়দ মাহবুব ই জামিলকে আসার আমন্ত্রণ জানালে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে সম্মতি দেন। কিন্তু পরে তিনি ওই সভায় আসেননি।

২০১১ সালে সৈয়দ মাহবুব জামিল মসজিদের মুতাওয়ালির দায়িত্ব গ্রহণের পর একের পর এক নানা বিতর্কিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। তিনি মসজিদ কমিটি অথবা পঞ্চায়েতের মুরুব্বিদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করে ও তাদের মতামত না নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এলাকায় বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়।সৈয়দ মাহবুব ই জামিল পশ্চিম ধরাধরপুর জমে মসজিদ একটা হলে এই মসজিদের নাম এক এক রশিদ একাধিক নাম দিয়ে মাসিক চাঁদার রশিদ চাপিয়ে এলাকার মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছেন যা এলাকার মানুষ জানার পর এলাকায় মারাত্মক বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

তিনি পশ্চিম ধরাধরপুর জমে মসজিদ এর নামে মাসিক চাঁদার রশিদ দিয়ে পঞ্চায়েতের মানুষদের কাছ থেকে মসজিদের নামে চাঁদা আদায় করেন কিন্তু সিলেট ওয়াকফ অফিসে তিনি হাজি সৈয়দ তবারক আলী গং ওয়াকফ এস্টেট ইসি নং ৬৪৬৪ পক্ষে বছর বছর মোটা অংকের খাজনা দিয়ে আসছেন তিনির নিকট আত্মীয়র নামে ভূয়া একটি ওয়াকফ এস্টেট এর নামে এই নামে ধরাধরপুর মোজায় হাজি সৈয়দ তবারক আলী গং ওয়াকফ এস্টেট এর কোন অস্তিত্ব নাই।

সৈয়দ মাহবুব ই জামিল মসজিদ কমিটির সদস্যসহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে মসজিদ পরিচালনা কমিটির ৪ সদস্যসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন (দক্ষিণ সুরমা থানা, মামলা নং-৯)। যুগযুগ ধরে চলে আসা রীতি ভঙ্গ করে পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদে আসন্ন ঈদুল আজহার নামাজ পড়ার ঘোষণায় স্বাভাবিক কারণে এলাকায় তীব্র অসন্তোষ, ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তাই এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী অনুরোধ জানিয়েছেন।

স্বারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন পশ্চিম ধরাধরপুর বাঘের বাড়ি শাহি ইদগাহ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন রাসেল, মোঃ আং খালিক, মোঃ মুহিবুর রহমান (মুহিন), মোঃ জুনেল আহমদ শাকিল ও রিপন আহমদ ও পশ্চিম ধরাধরপুর জমে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আট সদস্য সহ একশো একান্নজন গ্রামবাসী। বিজ্ঞপ্তি

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net