সিলেটের নির্বাচন রাজনীতিতে প্রবাসীরা একটা বড় ফ্যাক্টর। জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন নির্বাচনেও জয়ী হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রবাসীরা।
সিটি নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। লন্ডন থেকে নিবার্চনে প্রার্থী হয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। আর তাকে সমর্থন দিতে দলে দলে সিলেট আসতে শুরু করেছেন প্রবাসীরা। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে তারা বিভিন্ন প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।
অনেকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ছুটে আসছেন বলে জানা গেছে। এবারের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার টিকেট অনেকটা কৌশলে বাগিয়ে নেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। আর তিনি প্রার্থী হওয়ায় প্রবাসীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা।
অনেক প্রবাসী জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করলেও এবার সিটি করপোরেশন আসবে প্রবাসীদের দখলে এমনটাই মনে করছেন। আর একারনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগেভাগেই মাঠে নামতে শুরু করেছেন প্রবাসীরা। কেউ কেউ মাসের পর মাস দেশেই কাটাচ্ছেন।
আবার কেউ কেউ দেশে আসা যাওয়া করছেন। কেউ কেউ সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এ কারনে সিলেটের রাজনীতিতে প্রবাসীদের আধিক্য বাড়ছে। সিলেটের লোকজন জানান, অনিয়মের অভিযোগ নেই প্রবাসী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
এ কারণে সিলেটের রাজনীতিতেও প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তিকে সহজেই মেনে নিচ্ছেন সবাই। সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রাথী হওয়ার দৌড়ে আছেন অনেকেই। নিজ উদ্যোগে করছেন সমাজসেবা। ইতিমধ্যে সিলেট জেলার ৬টি নির্বাচনী আসনে অন্তত ডজন প্রবাসী ভোটের মাঠে সক্রিয় হয়েছেন। জাতীয় সংসদে আগে অনেক প্রবাসী নেতৃত্ব দেন।
বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব ও সিলেট-২ আসনের এমপি মোকাব্বির খান জাতীয় সংসদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে সিলেট-২ আসনের এমপি ছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি সিলেটের একজন ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত।
এছাড়া ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়া ও সিলেট-৫ আসনের সাবেক এমপি সেলিম উদ্দিনও ছিলেন লন্ডন প্রবাসী। সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে নৌকার টিকিট পান লন্ডন প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবীব। বর্তমানে ওই আসনে নৌকার টিকিট চান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আসম মিসবাহ।
তার পক্ষেও এলাকায় পোস্টারসহ নানা প্রচারণা চলছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আরেক নেতা মনির হোসাইন এ আসনে নৌকার টিকিটের প্রত্যাশী হয়ে মাঠে রয়েছেন। সিলেট-৩ আসনে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি’র মনোনয়ন চাইছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও বিএনপি’র সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম।
সে লক্ষ্যে তার পক্ষ থেকে এ আসনে কাজও করা হচ্ছে। তিনি নিজে এসেও এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। বিএনপি নির্বাচনে গেলে ব্যারিস্টার সালাম এবারো এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন। সিলেট-৪ আসনে নৌকার টিকিটের জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যাশায় রয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা গোলাপ মিয়া।
সিলেট-৫ আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা প্রবাসী সেলিম উদ্দিনের পক্ষে সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসনে প্রচার চালানো হচ্ছে। সিলেট-৬ আসনে ২০০৮ সাল থেকে নৌকার টিকিট চা”েছন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন। গত ১৫ বছর ধরে এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন তিনি। বর্তমানেও মাঠে রয়েছেন সরওয়ার আহমদ।
এছাড়া লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আফছার খান সাদেকও এ আসনে নৌকার টিকিট চাইছেন। রোববার সিটি নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিতে সিলেট আসছেন বলে মুঠোফোনে সমকালকে জানিয়েছেন আফছার খান সাদেক। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে সিলেটে প্রায় দুই শতাধিক প্রবাসী দেশে এসেছেন।
এদের মধ্যে অধিকাংশই যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কেউ কেউ ব্যবসায়ী। যুক্তরাজ্য ছাড়াও আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিণœ দেশে থেকে প্রবাসীরা দেশে এসেছেন। প্রবাসীরা জানান, অনোয়ারুজ্জামান যেভাবে প্রবাসে সাধারন মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন ঠিক সেভাবে দেশেও প্রবাসীদের পক্ষেই মাঠে থাকবেন।
আর একারনেই তারা পরিবর্তন চান। তিনি নির্বাচিত হলে সিলেট নগরী হবে স্মার্ট নগরী। প্রবাসীদের অনেক দাবি পূরণ হবে আনোয়ারুজ্জামান নির্বাচিত হলে। সম্প্রতি আসা কয়েকজন উল্লেখযোগ্য নেতা হলেন যুবলীগ যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম মধু ও তার সহধর্মিণী সালেহা ইসলাম,
যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ-সভাপতি সাবুল আহমদ, মাহবুব আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সারজন খান, হাফিজুর রহমান সেলিম, লন্ডন মহানগর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবায়েরর সিদ্দিকী সেলিম ও যুবলীগ নেতা মুতছির চৌধুরী জনি। যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধু বলেন, আনোয়ারুজ্জামান প্রবাসীদের কল্যাণে একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি।
আমরা তার বিজয়ের মাধ্যমে প্রবাসীদের বিজয় দেখতে চাই। যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ খান বলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে অব¯’ানরত প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছেন। আমি এসেছি।
আমার সঙ্গে বেশ কয়েকজন এসেছেন। আরো আসছেন অনেকেই। তিনি বলেন, আনোয়ারুজ্জামান বিজয়ী হলে বদলে যাবে আমাদের এই সিলেট। আন্তর্জাতিক বিশ্বে সিলেটসহ বাংলাদেশের মুখ আরও উজ্জ্বল হবে।
আজ রোববার সকালে সিলেট আসেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আফছার খান সাদেক। তার সঙ্গে ১৫ জনের একটি প্রতিনিধিদল সিলেট আসে। তারা সকলে মিলে নগরীরর চালিবন্দর আনোয়ারুজ্জামান চৌধূরীর বাসায়। সেখানে তারা আনোয়ারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তারা নগরীলর বিভিন্বিন ্বএলকায় প্ণ্নরচার চালান।
আফছার খান সাদেক বলেন, আমাদের একটাই চাওয়া আনোয়রুজ্জামানের বিজয়। তার বিজয়ে প্রবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net