সিলেটে এক বছরে ২২ হাজার ৫৮৬ জন নারী সন্তান প্রসব করেছেন। এর মধ্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৩৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছে।
যদিও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে তা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে থাকার কথা। এ অবস্থায় রোববার সিলেট নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিএইচআইএস-২-এর ডেটাবেজের তথ্য থেকে জানিয়েছে, ২০২২ সালে জেলায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন ১৪ হাজার ৮০ জন এবং স্বাভাবিক প্রসব করেছেন ৮ হাজার ৫০৬ জন।
সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের হার কম। সরকারি হাসপাতালে প্রায় ৮০ শতাংশ স্বাভাবিক এবং ২০ শতাংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব হয়ে থাকে।
তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত বলেন, জেলার সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ নারী সন্তান প্রসব করছেন।
বাকিরা বাড়িতেই সন্তান প্রসব করছেন। তারা স্বাভাবিকভাবেই সন্তান প্রসব করছেন। জেলার ১১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচারের সন্তান প্রসবের হার।
বেসরকারি হাসপাতালে ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসবের হার বাড়ার কারণ সম্পর্কে জন্মেজয় দত্ত বলেন, প্রথম সন্তান জন্মের সময় অস্ত্রোপচার হলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের সুযোগ কমে যাবে।
আর বেসরকারি হাসপাতালে ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির সেখানে অস্ত্রোপচারের সংখ্যা বেশি। চিকিৎসকেরা বলছেন, একজন নারীকে গর্ভাবস্থায় (প্রসবের আগপর্যন্ত) চারবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
এর মধ্যে গর্ভকালীন এক থেকে দুই মাসের মধ্যে একবার, চতুর্থ মাসে একবার, ষষ্ঠ ও অষ্টম মাসে আরো দুইবার। ২০২২ সালের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গর্ভকালীন অবস্থায় একবার হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন ২১ হাজার ২৪ জন। নিয়ম অনুযায়ী চারবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন ৫ হাজার ৫০০ জন।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, এ হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার বেশি।
এর মূল কারণ, হাসপাতালে আসা অধিকাংশ নারীকে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা বেসরকারি ক্লিনিক থেকে রেফার্ড করা হয়। অর্থাৎ ঝুঁঁকিপূর্ণ অবস্থায় আসেন তারা।
সে ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করতে হয় বেশি। গত বছর সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে ৫৩ জন নারী মারা গেছেন। নবজাতক (১ থেকে ২৮ দিন বয়স) মারা গেছে ১০৫ জন।
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net