জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
সিলেট সান ডেস্ক :: ||
২০২২-১২-১৪ ০৮:২০:৩৭
জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে (জেসিপিএসসি) নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস- ২০২২' পালন করা হয়। আজ ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিপিএসসির অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান, পিএসসি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তৌফিক মোহাম্মদ মাদানী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ
মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সাজ্জাদুজ্জামান চৌধুরীর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান। এসময় ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক শারমিন আক্তার, শিক্ষক মণ্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ বলেন, ‘হন্তারক পাক হানাদার বাহিনী যখন পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে মরিচিকাময় শূন্যতায় ভীত সন্ত্রস্ত তখই জাতির মেধাবী সন্তানদের শহিদ করে। তারা চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য। আমি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই হানাদার বাহিনী যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের সূচনা করেছিল তার ভয়াবহ রূপ নেয় শেষের দিকে এসে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। হানাদাররা তাদের এদেশিয় দোসর আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকারদের সহযোগিতায় বেছে বেছে হত্যা করেছিল শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও বুদ্ধিজীবীদেরকে। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা চেয়েছিল স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়া দেশটিকে মেধা ও মননে পঙ্গু করতে।
কিন্তু তারা সফল হয়নি। বুদ্ধিজীবীদের আত্মদানের প্রতিদান স্বরূপ তোমাদেরকেই মেধা ও মননে মননশীল হয়ে দেশপ্রেমিক এবং বুদ্ধিদীপ্ত সুনাগরিক হতে হবে। বুদ্ধিজীবীদের অপূর্ণ স্থান তোমাদেরকেই পূর্ণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই তাদের এই আত্মত্যাগ সফল হবে।‘
অনুষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চিত্র ও বুদ্ধিজীবীদের অবদানের কথা উঠে আসে। তারা বলেন, ইতিহাসে বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন কলম সৈনিক। তাঁরা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও দেশ স্বাধীন করার জন্য প্রেরণা জুগিয়েছেন। দিকপালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশকে স্বাধীন করার পথ দেখিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জ্যেষ্ঠ প্রভাষক আব্দুন নূর এবং সদস্য হিসেবে ছিলেন প্রভাষক জয়নাল আবেদীন, প্রভাষক জয়ন্ত মোদক, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ শামীম আল মামুন, সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী শিক্ষক শর্মিলা দাস সিমি।
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net