পাটলাই নদীতে বিআইডব্লিউটির চাঁদা উত্তোলন করাকে কেন্দ্র করে শ্রীপুর বাজারে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। সংর্ঘষে তিন গ্রামবাসীর লোকজনের দেশীও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দু'ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে। তবে বাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে।
পাটলাই নদীতে বিআইডব্লিউটির চাঁদা উত্তোলন নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এখানে যেকোন সময় খুন খারাবি হতে পারে। তাই বিআইডব্লিউটির চাঁদা উত্তোলন বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও উপজেলার সচেতন মহল।
প্রতক্ষদর্শী ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের পাটলাই নদীতে বিআইডব্লিউটির নামে নদীতে বিআইডব্লিউটিএর লিজ গ্রহিতা আশ্ররাফুজ্জামান রনির নির্দেশ চলাচলকারী নৌযান থেকে চাঁদা উত্তোলন করা নিয়ে তরং গ্রামের সামাদ মিয়ার লোকদের সঙ্গে মন্দিয়া গ্রামের সাজিনুর মেম্বারের ছেলে জিলানী মিয়ার লোকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এরই জের ধরে সোমবার সকালে শ্রীপুর বাজারে তরং গ্রামের সামাদ তালুকদার ও শিবরামপুর গ্রামের আকিক মড়লের মধ্যে এই নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তরং, শিবরামপুর ও কুড়েপাড়া গ্রামের লোকজন দেশীয় অশ্র নিয়ে শ্রীপুর বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের সময় বাজারের দোকান গুলো বন্ধ করলেও বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানঘর ভাংচুর করে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে সম্রাট তালুকদার,লোকমান, নজির,রনিক,রুখন,আনেয়ার হোসেন,তানজিল, তারিকুল,সামু,খলিল,হাসান মিয়া,মেম্বার শাহনুর মিয়া, মোরাদ মিয়া,কবির মিয়া,মোরছালিন মিয়াসহ ৩০জনকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে,সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যান্য আহতদের বিভিন্ন বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। শ্রীপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান বলেন,পাটলাই নদীতে বিআইডব্লিউটির চাঁদা উত্তোলন নিয়ে বাজারে সংঘর্ষে বাজারের ঘর ভাংচুর করায় ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
পাটলাই নদীর বিডব্লিউটির ইজারাদার আশ্রাফুজ্জামান রনি বলেন, শ্রীপুর বাজারে যে সংঘর্ষ হয়েছে এই সঙ্গে আমার বা বিডব্লিউটিএর ইজারার কোন সমপৃক্ততা নেই।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন,সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে বাজারে পুলিশ অবস্থান করছে।
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net