‘খুলনার পথে পথে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। খুলনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র যে বাসায় অবস্থান করছে, সেখানেও পুলিশ রেইড করেছে এবং ২৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে’ বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার সকালে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কিছুক্ষণ আগে খবর নিয়েছি, খুলনায় সরকার নির্দেশ দিয়েছে- সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে আসা লোকজনকে পথে দেখা মাত্রা গ্রেপ্তার করতে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাম দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে শোডাউন করেছে। তারা সন্ত্রাস করার চেষ্টা করছে। এই সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টার নিন্দা জানাচ্ছি এবং একই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।’ খু
লনায় বিএনপির সমাবেশে বাধা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সেখানে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তার সম্পূর্ণ দায় সরকারকে নিতে হবে। আসলে এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাই আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দিতে চায় না।’ ‘
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার খুলনায় গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি- তারা রেলও বন্ধ করে দেবে। যদিও এখন সেটা করেনি।’
আওয়ামী সরকার বিদ্যুতখাতকে ‘বিলিয়নিয়ার’ তৈরির কারখানায় পরিণত করে অর্থনীতি ও জনজীবন সংকটাপন্ন করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সরকার সবকিছুর জন্যই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আর করোনার দোষ দিয়ে পার পেয়ে যেতে চাচ্ছেন।
অথচ করোনা কিংবা ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক আগ থেকেই সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ দেশের সার্বিক অর্থনীতি খাদের কিনারে চলে এসেছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সময় উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ নেটওয়ার্ক ও গ্রাহক সংযোগ- এই চারটি মৌলিক স্তরের সুসমন্বয় করা হয়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের মধ্যে ভারসাম্য থাকা জরুরি।
২০০৯ -২০২২ সালের মধ্যে সঞ্চালন লাইন যেখানে মাত্র ৬৯ শতাংশ ও ১৪০ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে ৪১৭ শতাংশ। উৎপাদন পরিকল্পনায় পরিনামদর্শিতার অভাবে মহাপরিকল্পনাটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াশাল গ্রিডের কোনো এক লাইন ট্রিপ করায় অন্য লাইন ওভারলোড হয়ে ধারাবাহিক ট্রিপের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে।
ঘোড়াশাল কেন্দ্রটিতে ফুল লোড দিতে গেলে এ সমস্যার সূত্রপাত- এ কথাটি সত্য হলে প্রশ্ন হলো, এ কেন্দ্রটিতো নতুন। এই চীনা কেন্দ্রটি চালুু করার আগে ‘ফুল লোড টেস্ট’ করা হয়েছে কিনা পিডিবিকে তা স্পষ্ট করতে হবে।
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net