সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন: কে হাসবেন শেষ হাসি রুমেন না মুকুট ?

স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ || ২০২২-১০-১৫ ০০:৪৮:০৮

image

সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তাপ বাড়ছে। দুজনই আওয়ামী পরিবারের সদস্য হওয়ায় ভোটাররা পড়েছেন বিপাকে।

একজন দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রচার চালাচ্ছেন আর অপরজন দল থেকে বহিষ্কৃত। এ অবস্থায় জেলার বহুল আলোচিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৪৪ জন সদস্য প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

তারা ভোটারদের মন জয় করে প্রতিদিনেই নিজের পাল্লা ভারি করতে প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতিও। তবে শেষ পর্যন্ত কার গলায় বিজয়ের মালা উঠে তা বলা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।

আর নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা কার্যকলাপে জেলা জুড়েই আলোচনা সমালোচনা হয়। বিশেষ করে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী, জেলা আআওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. খায়রুল কবির রুমেন (ঘোড়া প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আআওয়ামী লীগের  সিনিয়র সহ-সভাপতি,সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক নূরুল হুদা মুকুট (মোটরসাইকেল প্রতীক) নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন।

জানা যায়,প্রতীক পাওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান পদে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীসহ সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য পদে ৪টি ও সদস্য পদে পুরুষ ১২টি ওয়ার্ডে ৪৬ প্রার্থী ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে প্রাথীদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণায় আরও তৎপর হয়ে উঠছেন। হাওরের রাজধানী খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলা হওয়ায় প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা চালাতে গিয়েও পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে।

কোথাও স্পিডবোট, কোথাও ইঞ্জিন চালিত নৌকা, কোথাও পায়ে হেটে পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কার্যালয় ও বাড়ি বাড়ি ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন।

নির্বাচনে সুনামগঞ্জ জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১২২৯ জন। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার চার পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, ১১ উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং জেলার ৮৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত করবেন।

আর তাঁরা সকলেই স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট দুই প্রার্থীই জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। নির্বাচন বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলাসহ জেলার ১১উপজেলাতেই চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্লিল ইমেজ,পারিবারিক ঐতিহ্য,ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন,সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি রয়েছে ড. খায়রুল কবির রুমেনের।

তার বাবা প্রয়াত আব্দুর রইছ সুনামগঞ্জ জেলা আ,লীগের সাবেক সভাপতি,এছাড়াও তার ছোট ভাই এনামুল কবির ইমন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

অপর দিকে জেলা সদরসহ ১১উপজেলাতেই চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুটের রয়েছে শক্তিশালী অবস্থান। ৩০বছর যাবৎ মুকুট আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুবাধে তৃণমূল পর্যায়ে তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।  বর্তমানে সিনিয়র সহ সভাপতি। সম্এপ্রতি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ অবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জ মুকুটের সামনে। 

মুকুট জেলা সদরসহ জেলার বাইরের উপজেলার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। একারনে তিনি এখনো অনেকটা এগিয়ে আছেনন প্রচারে।

অপরদিকে মহিলা সদস্য পদে ৪ ওয়ার্ডে ৪টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ নারী। ১নং ওয়ার্ডে (বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর-ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা) প্রার্থী হলেন-তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনের মেয়ে বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্য সেলিনা বেগম (হরিণ প্রতীক)।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মুক্তিখলা গ্রামের তাহমিনা বেগম (ফুটবল প্রতীক) ও তাহিরপুর উপজেলার আইরিন বেগম (মাইক প্রতীক)। ২নং ওয়ার্ডে (দিরাই-শাল্লা ও জামালগঞ্জ উপজেলা)মোছা. খালেদা আক্তার (ফুটবল প্রতীক),বীণা জয়নাল (টেবিল ঘড়ি প্রতীক), সুলতানা রাজিয়া (হরিণ প্রতীক)।

৩নং ওয়ার্ডে (সুনামগঞ্জ সদর-শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলা) ফৌজি আরা বেগম শাম্মী (লাটিম প্রতীক), সানজিদা নাসরিন দিনা (ফুটবল প্রতীক),মোছা. জুবিলী বেগম (মাইক প্রতীক)। ৪নং ওয়ার্ডে (দোয়ারাবাজার-ছাতক উপজেলা) সেলিনা আক্তার (ফুটবল প্রতীক),মোছা. নুরুন্নাহার (হরিণ প্রতীক)।

সদস্য পদে ১২ ওয়ার্ডে ১২টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৩ জন পুরুষ। তারা হলেন,১নং ওয়ার্ডে (ধর্মপাশা উপজেলা)চন্দন খান (তালা প্রতীক), এনামুল হক (বৈদ্য্যুতিক পাখা প্রতীক),মো. ফেরদৌসুর রহমান (হাতি প্রতীক)। ২নং ওয়ার্ডে (মধ্যনগর উপজেলা) মো. আব্দুস সালাম (তালা প্রতীক) ও পরিতোষ সরকার (হাতি প্রতীক)। ৩নং ওয়ার্ডে (তাহিরপুর উপজেলা) মেহেদী হাসান উজ্জ্বল (টিউবওয়েল প্রতীক)

ও মো. মজিবুর রহমান (তালা প্রতীক)। ৪নং ওয়ার্ডে (বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা) মো. আক্তারুজ্জামান মিরাশ মিয়া (হাতি প্রতীক), মো. হোসেন আলী (তালা প্রতীক) ও মো. মহিবুর রহমান (টিউবওয়েল প্রতীক)। ৫নং ওয়ার্ডে (জামালগঞ্জ উপজেলা) শাহানা আল আজাদ (টিউবওয়েল প্রতীক),

মো. মিছবা উদ্দিন (ঘুড়ি প্রতীক), দ্বিপক তালুকদার (তালা প্রতীক)। ৬নং ওয়ার্ডে দিরাই উপজেলা) আব্দুল্লাহ্ আল বাকী আজাদ (টিউবওয়েল প্রতীক), মো. নাজমুল হক (তালা প্রতীক), রায়হান মিয়া (হাতি প্রতীক)।

৭নং ওয়ার্ডে (শাল্লা উপজেলা) মো. জামান চৌধুরী (হাতি প্রতীক), ব্রজলাল দাস (ঘুড়ি প্রতীক), বাদল চন্দ্র দাস (টিউবওয়েল প্রতীক), টিকেন্দ্র চন্দ্র দাস (বক প্রতীক), আব্দুছ সালাম (তালা প্রতীক)।

৮নং ওয়ার্ডে (জগন্নাথপুর উপজেলা) মাহতাবুল হাসান (তালা প্রতীক),হারুন মিয়া (টিউবওয়েল প্রতীক) ও মো. সিরাজ উদ্দিন (ঘুড়ি প্রতীক)। ৯নং ওয়ার্ডে (শান্তিগঞ্জ উপজেলা) রুকনুজ্জামান (ঘুড়ি) ও মনিরুজ্জামান বারী (টিউবওয়েল)। ১০নং ওয়ার্ডে (সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা) আব্দুল কাদির (হাতি প্রতীক),

মো. মনির উদ্দিন (তালা প্রতীক)। ১১ নং ওয়ার্ডে (দোয়ারাবাজার উপজেলা) মো. আব্দুল খালেক (তালা প্রতীক) ও মো. রফিকুল ইসলাম (হাতি প্রতীক)। ১২নং ওয়ার্ডে (ছাতক উপজেলা) আবুল খায়ের (ঘুড়ি প্রতীক),সাহেদ মিয়া (তালা প্রতীক) ও মো. আব্দুস সহিদ মুহিত (টিউবওয়েল প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net