সুনামগঞ্জে যুবদল নেতার চাঁদাবাজি মামলায় জেলে শ্রমিকলীগ সভাপতি, নেতারা বলছেন প্রতিহিংসার শিকার

স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ || ২০২২-০৮-১৬ ১২:৫৭:৫৩

image

সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সেলিম আহমদকে গ্রেফতারের পর সুনামগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন অনেকটা উত্তপ্ত। তিনি প্রতিহিংসার শিকার বলে দাবি করেছেন তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা। অনেকেই জেলা যুবদলের সহ সভাপতি ওলিউর রহমানের মামলায় গ্রেফতার সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগকে ধবংস করার পায়তারা।

তারা বলছেন, আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ, মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি রয়েছে জেলা জুড়েই। সেই সেলিম আহমদকে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় নাম না থাকার পরও গ্রেপ্তারের পর দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও জেলা জুড়ে।

মঙ্গলবার(১৬আগষ্ট) ভোরে জেলার পৌর শহরের হাছননগর নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সেলিম আহমদকে। এর পূর্বে গত বৃহস্পতিবার রাতে মোর্শেদ আলম ও তার তিন সহোদরসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মৃত রাজা মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী অলিউর রহমান। এই মামলায় মোর্শেদ আলমসহ দুজন জেল হাজতে আছে।

আর মোর্শেদ আলম সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমেদের আপন চাচাত ভাই। তবে মামলার অভিযোগপত্রে কোথাও জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি সেলিম আহমেদের নাম বা রাজনৈতিক ক্ষমতার ইঙ্গিত ছিলনা। ঘটনার ৬ দিন পর মঙ্গলবার (১৬ই আগষ্ট) ভোরে জেলার পৌর শহরের হাছননগর নিজ বাসা থেকে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলার সচেতন মহল বলছেন,সুনামগঞ্জের রাজনীতি দিন দিন যে কত খারাপ হচ্ছে তা বিগত কয়েক মাস ঘাটলেই বুঝা যায়। আফসোস ভালো মানুষরা রাজনীতি ছেড়ে দিবে। তবে এর আগের দিন তাহিরপুরে স্মরণকালের শোক সমাবেশ করে অনেকের ‘বদ নজরে’ পড়েন সেলিম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা শহরের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী নেতাকে এভাবে ‘হাওয়াই মামলায়’ জড়ানোয় আওয়ামী লীগের জন্য কলংকজনক। তাকে যুবদল নেতার মামলায় জড়ানোর জন্য নিজ দলের শীর্ষ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন বলে জানান।

তারা তাকে আগামীতে ‘গলার কাটা’ বিবেচনা করছেন। গতকাল তাহিরপুরের শোক সমাবেশ তাদের কলিজায় ‘কাপন ধরিয়েছে’। এর জেরেই এই নাটক। আমিন উদ্দিন,শরীফ উদ্দিনসহ জেলার শহরের অনেকেই জানান, যিনি ৩০ কোটি টাকা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে নেওয়া যাদুকাটা ইজারাদার তিনি কিভাবে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় আসামী হয়৷

 

বরং যারা যাদুকাটায় বিনা পয়সার ভাগিদার না করায় নিজ দলের কয়েকজন নেতাও ক্ষুদ্ধ ছিলেন। তাছাড়া সম্প্রতি সীমান্তে নদীতে নামে বেনামে চাঁদাবাজির ঘটনায় তিনি প্রতিবাদী ছিলেন। এ কারণে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র, জনপ্রতিনিধিদের ষড়যন্ত্র আজ তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।

প্রশাসনের এই বিষয়টি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে প্রকৃত ঘটনা বের করে দোষীদের শাস্তির দাবী জানাই। জাহিদ মিয়া,আমিন মিয়াসহ অনেকেই জানান,গত কয়েক বছর ধরে দেখছি করোনাকালে সহায়তা,হাওরের ফসলহারা কৃষকদের সহায়তা, হাওরের বাঁধ নির্মাণে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সহায়তা, অসহায় শত শত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সহায়তা এমনকি সাম্প্রতিক বন্যায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে প্রশংসিত হয়েছেন।

এ নিয়ে কোন সংবাদ হোক তা চাননা তিনি। তার এই উত্তম দানের জন্য প্রশংসা দাবী রাখে। এখন সেই ব্যক্তি চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় জেলে তা বিশ্বাস যোগ্য না কোথাও একটা গরমিল আছে। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন আমার ভাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

ওই মামলার বাদীর সঙ্গে আমার চাচাতো ভাইদের ব্যবসায়িক বিরোধ রয়েছে আমি বা আমার ভায়েইর এর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। মামলায় আসামীও না তার পরও এই মামলার জেরের সুযোগ নিয়ে সেলিমকে ফাঁসানো হয়েছে। এর বিচার আল্লাহ করবে।

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net