শাবির ঘটনা নিছক ছিনতাই অন্য কিছু নয়: বুলবুল খুনের পর পুলিশের ব্রিফিং

স্টাফ রিপোর্ট:: || ২০২২-০৭-২৭ ০৬:১০:২২

image

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে হত্যার পেছনে অন্য কোন কারন নেই। নিছক ছিনতাইর উদ্দেশ্যেই খুন করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় বুলবুলের কথিত প্রেমিকার সম্পৃক্ততা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে জালালাবাদ থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ। সংবাদ সম্মেলনে আজবাহার আলী শেখ বলেন, ঘটনার পররই তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকশনে নামে পুলিশ।

আটক করা হয় তিনজনকে। তাদেরকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে মো. আবুল হোসেন খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা পুলিশকে জানায়। ঘটনার সাথে জড়িত আরও দুজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন তিনি। তার তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কামরুল আহমদ ও মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর তারাও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। পরে কামরুলের বাড়ি থেকে বুলবুলের মোবাইল ফোন ও খুনে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্তে আমরা জেনেছি, ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

শাবির গাজীকালু টিলা এলাকায় সোমবার অবস্থান করছিলেন আবুল হোসেনসহ চারজন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দুজন চলে যায়। সন্ধ্যার পর বাকি দুজনের সঙ্গে যোগ দেয় কামরুল। গাজীকালু এলাকায় সন্ধ্যার পর ঘুরতে যান শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ ও মার্জিয়া ঊর্মি। ওই এলাকা নির্জন।

তাদেরকে সেখানে পেয়ে আবুল হাসান, কামরুল আহমদ ও মো. হাসান মোবাইল ও টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে বুলবুলের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তি হয়। তখন তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।’ ছিনতাইকারীরা বুলবুলের মানিব্যাগ ও ঊর্মির মোবাইল, ব্যাগ কেন নেয়নি? এমন প্রশ্নের জবাবে আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘ঊর্মিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।

সে বলেছে, ঘটনার সময় বুলবুলের কাছ থেকে একটু দূরে সরে গিয়েছিল। বুলবুলের মানিব্যাগও খোয়া যায়নি। গ্রেপ্তারকৃতরা বলেছে, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতের পর রক্ত দেখে তারা ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়।’ ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে উর্মির চলে যাওয়া এবং কললিস্ট মুছে ফেলার বিষয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্কের কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে, এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘উর্মি হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে পাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, সে জানতে পারে নিহত বুলবুলের জানাজা ক্যাম্পাসে হবে। জানাজায় শরিক হতে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। তার চলে আসার পেছনে অপরাধমূলক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।’ ‘আমরা উর্মির মোবাইল ও কললিস্ট চেক করে দেখেছি।

এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কারও সাথে উর্মির মোবাইল যোগাযোগ ছিল না। তার মোবাইলে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি।’ এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃতরা মাদকাসক্ত কিনা, তা ডোপ টেস্ট করলে জানা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আজবাহার আলী শেখ।

তবে তাদের বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা নেই। ফলে তাদেরকে ‘পেশাদার ছিনতাইকারী’ বলতে নারাজ এই পুলিশ কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের গাজীকালুর টিলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বুলবুল। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net