যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ে টিকে আছেন ঋসি আর লিজ

দেওয়ান বেলাল আহমদ চৌধুরী, লন্ডন প্রতিনিধি || ২০২২-০৭-২১ ১৭:০৫:১৭

image

যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বা পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতা এগিয়ে চলেছে তুমুল বেগে। নানা কেলেঙ্কারিতে বরিস জনসন পদত্যাগ করতে বাধ্য হলে তার উত্তরসূরী হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন দেশটির ১১ এমপি।

তবে কনজারভেটিভ এমপিদের পাঁচ দফা ভোট শেষে তাতে টিকে রয়েছেন আর দুজন: ঋষি সুনাক ও লিজ ট্রাস। দলীয় সদস্যদের সমর্থন পেতে এখন থেকে আগস্ট মাসজুড়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালাবেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।

শেষ হাসি কে হাসবেন তা জানা যাবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। তবে পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা কার বেশি, তা নিয়ে আলোচনা চলছে এখনই।

প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের হিসাবে, এই দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন লিজ ট্রাস। এমপিদের ভোটে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সর্বোচ্চ ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ দেখছে ইকোনমিস্ট।

পঞ্চম রাউন্ডে ১১৩ এমপির ভোট পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার প্রতি সমর্থন রয়েছে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ কনজারভেটিভ সদস্যের। এমপিদের ভোটে এগিয়ে থাকলেও যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিজ ট্রাসের চেয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট।

তাদের হিসাবে, ঋষির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। চূড়ান্ত রাউন্ডে সর্বাচ্চ ১৩৭ এমপির ভোট পেয়েছেন তিনি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ নেতার প্রতি দলীয় ১৭ শতাংশ সদস্যের সমর্থন রয়েছে।

লিজ ট্রাস : ব্রেক্সিট গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকার পক্ষে ভোট দিলেও এই মুহূর্তে কনজারভেটিভ পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন, এমন যোগ্য নেতাদের মধ্যে অন্যতম লিজ ট্রাস। বহুল আলোচিত নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড সংকট সমাধানে একটি নতুন খসড়া আইন তৈরি করেছেন তিনি, যা যুক্তরাজ্য-ইইউ চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করবে।

এতে তার প্রতি দলের অর্ধেক সদস্য খুশি হলেও বাকিরা খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছেন। নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষুধা দীর্ঘদিনের হলেও শেষ সময় পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি অনুগত ছিলেন লিজ।

এর ফলে জনসনপন্থি বেশিরভাগ সদস্যসহ জ্যাকব রিস-মগ এবং নাদিন ডরিসের মতো নেতাদের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন লিজ।

তার দাবি, এ ধরনের পদক্ষেপ দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গলা চেপে ধরবে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী হলে ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এ নেতা।

ঋষি সুনাক : সাবেক অর্থমন্ত্রী হিসেবে করোনাকালে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সংকট সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে ঋষির। তবে ওই সময়ে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কারণেই আবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

সংকট কাটাতে ট্যাক্সের হার গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী। গণভোটে জনসনের মতো ব্রেক্সিটের পক্ষে ছিলেন ঋষি সুনাক। প্রধানমন্ত্রী হলে ইইউ’র সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি পুনর্বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

তবে দলের অনেকের অভিযোগ, ব্রাসেলসের প্রতি সবসময় উদার ছিলেন ঋষি। তাছাড়া, গত ৫ জুলাই অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি, যা বরিস জনসনের পতন ত্বরান্বিত করেছিল। এ কারণে ঋষির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। তবে সাবেক ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাবের মতো বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর সমর্থন পাচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ নেতা।

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net