অবশেষে বিয়ের পিড়িতে সুনামগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা উত্তম কুমার
স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ ||
২০২২-০৭-১৬ ০৫:৫৪:০৫
উত্তর কুমার ৬৫ বছর বয়স। দীর্ঘ দিন অসুস্থতা ও পারিবারিক সমস্যার কারণে বিয়ে করতে না পারায় অবশেষে সুনামগঞ্জে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন কন্টরি রানী দাসের(৩৯)সাথে। নাম শুনে ভাবতে পারেন নায়ক উত্তর কুমার আবার কি ভাবে সাত পাকে বাধা পরলেন। এই উত্তম কুমার আর নায়ক উত্তর কুমার এক নয়। তিনি সুনামগঞ্জের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা উত্তম কুমার। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের টাকাটুকিয়া গ্রামের মৃত উপেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীর ছেলে। আর কনে কন্টরি রানী দাস সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মৃত তরুণী কান্তি দাসের মেয়ে। বর কনের থেকে ২৬ বছরের বড়।
শুক্রবার রাতে কনে ও বর পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতায় সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর এলাকার শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় দূর্গাবাড়ি মন্দিরে মালাবদল ও ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে তারা বিয়ে করেছেন। বিয়েতে বরকনে পক্ষের স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষীসহ এলাকার মুরুব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ে কিংবা ভালোবাসার কোন বয়স নেই, প্রেমের সম্পর্ক ছিল না তবে উত্তর কুমার(৬৫)সাত পাকে বাঁধা পড়া কন্টরি রানী দাসের(৩৯)দুজনার মধ্যে একটি মিল আছে তা হলে তারা দুজনেই দীর্ঘ দিন ধরে পরিবারের দায়িত্ব পালনের কারণে বিয়ে করতে পারেননি।
৬৫ বছর বয়সে এসে বিয়ে উত্তম কুমার
বীর মুক্তিযোদ্ধা উত্তম কুমার রায় চৌধুরী জানান,দীর্ঘ দিন অসুস্থতা ও পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি বিয়ে করতে পারেননি। তবে এখন পরিবারের সন্মতিতে বিয়ে করেছেন।
বরের ভাতিজা বিপ্লব চৌধুরী জানান,আমার কাকা পারিবারিক ঝামেলা ও অসুস্থতার কারণে সময় মত বিয়ে করতে পারেননি। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করছেন। এজন্য তার খুব ভাল লাগছে। দুই পরিবারের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
কনে কন্টরি রানী দাস জানান,আমাদের নুতন জীবন শুরু হলো। নতুন জীবনে সবার আর্শীবাদ ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি।
কনের ছোট ভাই জগৎ দাস জানান,আমার বড় বোন দীর্ঘ দিন ধরে পরিবারের দায়িত্ব পালনের কারণে বিয়ে করতে পারেননি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে দিতে পেরে খুব ভাল লাগছে।
মন্দিরে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিয়ে অনুষ্ঠান হওয়ায় তার খুব ভালো লাগছে জানিয়ে সুনামগঞ্জ শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় দূর্গাবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন জানান,বর ও কনের উভয় পরিবারের লোকজন বিয়ের আয়োজন করেন। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়।
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net