ধোপাদিঘীরপার ওয়াকওয়ের বৈদ্যুতিক কাজে বাধা, সিসিক ও কারা কর্তৃপক্ষের চাপা ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্ট:: || ২০২২-০৭-০৫ ০৬:৪৩:৩১

image

সিলেট সিটি করপোরেশনের নব নির্মিত নান্দনিক ধোপাদিঘীর পাড়ের বৈদ্যুতিক কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। এ সময় ওয়াকয়ের নির্মাণাধীন লাইটপোস্ট তুলে ফেলা হয় বলে সিটি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন।

(৫ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিসিক ও কারা কর্তৃপক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সিসিক'র কাজে দায়িত্বে থাকা পাপপু জানান, সকাল ১১ টার দিকে কিছু লোক এসে খুটি তুলে ফেলে। আমরা বাধঁা দেই তারা নিজেদেরকে কারারক্ষী পরিচয় দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলে।

এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। এক পর্যায়ে খুটি তুলে ফেলে তারা। তারা তাকে মারার জন্য তেড়ে আসে বলে জানান পাপপু। সিসিক সূত্র জানায়, দখল, দূষণ আর ভরাটে ধোপাদিঘিও পড়েছিল অস্থিত্ব সংকটের মুখে। সিলেট সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনায় নতুন রূপ পায় ধোপাদিঘি।

নগরীর মানুষকে নির্মলতার স্বাদ দিতে দিঘিকে বদলে দেওয়া হয় নান্দনিকতায়। দিঘির চারপাশে প্রায় ৫শ’ মিটার দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। দিঘিতে নামার জন্য রয়েছে সুদৃশ্য দু’টি ঘাট। দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য রাখা হয়েছে টাইলস বসানো বেঞ্চ, রয়েছে টয়লেটও। ধোপাদিঘি এলাকায় সিটি করপোরেশনের মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে দিঘিতে প্রবেশের পথ রাখা হয়েছে।

সন্ধ্যায় দিঘি এলাকা থাকে আলোকিত। গত ১১ জুন 'বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘি’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয় এই ওয়াকওয়ে। এ প্রকল্পে ভারত সরকার ৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে ৬ কোটি টাকাসহ ধোপাদিঘী প্রকল্পে মোট ব্যয় হয় ১৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

এটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী ও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী । মঙ্গলবার ওয়াকওয়ের ভেতরে গিয়ে দেখা যায় সিসিক মেয়র তাবু টানিয়ে বসে আছেন।

সঙ্গে তার বিশাল কাউন্সিলর বাহিনী। এ সময় তিনি এলাকা দেখিয়ে বলেন, এটি অনেক আগেই সমাধান হয়ে সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল হক জমি ডিমার্কেশন করে দেন। গত কয়েকদিন ধরে লাইটপোস্টের কাজ চলছিল। বেশ কয়েকটি খুটিও বসানো হয়েছে। সকালে তারা (কারারক্ষী) এসে তাদের লোকজনকে কাজে বাঁধা দেয়। ফোন পেয়ে ছুটে আসি।

তিনি বলেন, আমি বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে মোমেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে ও জানিয়েছি।

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net