উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলাসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উপজেলার সাথে যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,জেলা শহরের সাথে সড়ক পথে চলাচলের একমাত্র সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পানির তোরে ভেঙে যাওয়ায় ও নিন্মাঅঞ্চল পানি থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে জেলা শহরে যাওয়া ও আসা মানুষ জন। এখন জেলার সঙ্গে কয়েকটি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জেলা সদরসহ ১২ উপজেলা বন্যাকবলিত হওয়ায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক। এখনো অনেক সড়ক পানির নিচে ডুবে থাকায় ক্ষতির হিসাব জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সড়ক সংশ্লিষ্টরা। তবে সওজ ও এলজিইডি তাদের প্রায় ২২৫০ কিলোমিটার সড়ক তলিয়ে গিয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বরঘাট গ্রামের আবুল উদ্দিন বলেন,বন্যায় সুনামগঞ্জ-সাচনাবাজার পাকা সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। দ্রুত সড়ক মেরামত না করলে যান চলাচল সম্ভব হবে না।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিন বাদাঘাট ইউনিয়নের শক্তিয়ারখলা গ্রামের বাসিন্দা রহমান মিয়া জানান,এই ইউনিয়নের অব্যন্তরিন প্রতিটি সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও শক্তিয়ারখলা থেকে বিশ্বম্ভরপুর সড়কে ও ক্ষতি হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিসকা গ্রামের বাসিন্দা সাফিক মিয়া বলেন,গুরুত্বপূর্ণ তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কে বন্যা পানির থোড়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
ফলে তাহিরপুর থেকে আনোয়ারপুর কোন যানবাহন চলাচল করছে না। গুরুত্বপূর্ণ তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কসহ অভ্যন্তরিন প্রতিটি সড়কে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। পানি কিছুটা কমলেও সড়কে এখনও চলাচলের উপযোগী হয় নি। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বন্যায় সুনামগঞ্জের ৯টি সড়ক তলিয়ে গিয়েছিল।
পানিতে ডুবে গিয়েছিল সুনামগঞ্জ সড়কের ৪৬ কিলোমিটার,তাহিরপুর সড়কের ১৭ কিলোমিটার,শাল্লা-জরসোকা সড়কের ২২ কিলোমিটার, নিয়ামতপুর- কাছিরগাতি-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের ১৭ কিলোমিটার, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের ১৮ কিলোমিটার,গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কের ২৭ কিলোমিটার, মদনপুর-দিরাই-শাল্লা সড়কে ৪৬ কিলোমিটার ও পাগলা-রানীগঞ্জ-আউশকান্দী সড়কের ৩৬ কিলোমিটার শতভাগ পানিতে ডুবে বিটুমিনের ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। প্রথম দফা বন্যায় বেশ কয়েকটি সড়কের অন্তত ৭৫-৮০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৬৭কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। দ্বিতীয় দফা বন্যায় সবগুলো সড়ক তলিয়ে গিয়েছিল এবং পাহাড়ি ঢলের তোড়ে আরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এলজিইডির সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন,বন্যার পর সড়ক থেকে পানি নামার পর ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য জানা যাবে। তবে দুই দফা বন্যায় সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের।
প্রথম দফা বন্যায় ২৫০টি সড়কের ৫০০ কিলোমিটার সড়ক ও ৮টি সেতু-কালভার্টের প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষতির হিসাবের সাথে দ্বিতীয় দফা ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে সড়কের দ্বীগুন ক্ষতি হয়েছে।
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net