মৌলভীবাজারে বন্যার পদধ্বনি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: ||
২০২২-০৬-১৭ ১০:২৭:৪৯
মৌলভীবাজারে অতিবৃষ্টির কারণে শহরের রাস্তাঘাট ও নিম্নাঞ্চলের বাসা-বাড়িতে পানি উঠে গেছে। পানিমগ্ন হয়ে পড়েছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। পানি বাড়ছে মনু, ধলাই ও কুশিয়ারা নদীর। ফলে জেলায় বন্যাতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ৩ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৯ মিলিমিটার, যা গত ২৪ ঘন্টায় ছিল ৯.৮ মিলিমিটার।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রথমে গুঁড়িগুঁড়ি ও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বৃষ্টিপাতে জেলা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে। আতঙ্কে শহরের মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় ডুবে গেছে রাস্তা। এসব রাস্তায় কোমর পানি।বাড়িঘরে পানি উঠায় লোকজন মালামাল সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শহরের কোদালীছড়া খনন করা হলেও বৃষ্টির পানি টানতে পারছে না।এ কারণে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এদিকে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পূর্ব গীর্জাপাড়ার বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস নেই দুপুর ১২ টা থেকে। অনেকে আলাদা অস্থায়ী চুলা করে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করতে দেখা গেছে।
মনু নদীর পানি ক্রমশ বাড়ছে। দুপুর ১২টায় মনু নদীর পানি রেলওয়ে ব্রিজে ১২.৯৮ সেনিইমটার থাকলেও বিকেল ৩টায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.০৫ সেন্টিমিটার। চাঁদনীঘাটে ১২ টায় ছিল ৮.৯০। বিকেল ৩টায় বেড়ে ৯.২০ সেন্টিমিটার হয়েছে। এদিকে ধলাই নদী দুপুর ১২ টায় ছিল ১৫.৫৩ সেন্টিমিটার, সেটা দুপুর ৩ টায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৬৪ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারা নদী শেরপুর এলাকায় দুপুর ১২ টায় ছিল ৭.৮০ সেনিইমটার, বিকেল ৩ টায় বেড়ে ৭.৮৬ সেন্টিমিটার।
বৃষ্টি না থামলে ও উজানে বৃষ্টি হলে পানি বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শহরের আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা নিলুফার ইয়াসমিন ও সৈয়দ মহসিন পারভেজ বলেন, কোদালীছড়া খননের পর আশা ছিল এলাকা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকবে।কিন্তু জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি।। একদিনের বৃষ্টিতেই ভাসছে বাসা-বাড়ি। ঘরে ভেতর পানি ঢুকে নষ্ট হল মালামাল।
পূর্ব গীর্জাপাড়ার বাসিন্দা রিয়া ও নাসিমা বেগম বলেন, খনন হলেও কোদালীছড়া পানি টানতে পারছে না। পানি দ্রুত না নামায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।রাস্তা ডুবেছে, বাসায়ও পানি।কোথাও বেরোনো যাচ্ছে না।
জালালাবাদ গ্যাসের রাইজার পরিদর্শক চন্দন জানান, অনেক সময় বন্যা বা বৃষ্টির পানিতে গ্যাস লাইন ডুবে গেলে এবং গ্যাসের লাইনে লিকেজ থাকলে পানি ঢুকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
পৌর মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে শহরের নিম্নাঞ্চলসহ কয়েকটি স্থানে ও রাস্তায় পানি জমেছে, বৃষ্টি থামলেই পানি নেমে যাবে। জলাবদ্ধতা থাকবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান জানান, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহ থাকলে নদ-নদীর পানি বাড়বে। নদী ভাঙনের সৃষ্টি হতে পারে। তবে বাঁধ রক্ষায় বিভিন্ন জায়গায় তাদের কাজ চলমান আছে। এবিষয়ে তারা সর্বাত্মক সতর্ক রয়েছেন বলেও জানান
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net