ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলেই কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার নয়: আইনমন্ত্রী

সিলেটসান ডেস্ক:: || ২০২২-০৫-২১ ১২:২৩:১৬

image
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গেই কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সরকারি আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আগে দেখবেন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আদৌ মামলা হয় কি-না। তারপর সেটা বিবেচনা করবেন। এরপর আদালত যদি মনে করেন এটা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ, তাহলে সে রকম ব্যবস্থা নেবেন। আর যদি মনে করেন, সমন দিলেই যথেষ্ট, সমন দেবেন। তাই বলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করে ফেলতে হবে, এটা সমর্থনযোগ্য নয়। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মামলাজট নিরসনে জিপি ও পিপিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে সভায় আট বিভাগের আটজন জিপি ও আটজন পিপি মামলাজট নিরসনের বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। মামলার জট কমিয়ে আনতে সময় চেয়ে আবেদন না করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আগে বলা হত সিভিল কেস বেগুন খেতের মতো। এটা প্রচলিত ছিল। আমি তো শুনে শুনে বড় হয়েছি। এই জিনিসটা পরিবর্তন করতে হবে। জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে। তিনি বলেন, মামলা জট এখন কেবল আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও মামলা জটের সমস্যা আছে। আমাদের এখানে ৪০ লাখের মত মামলা আছে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যার বিবেচনায় মামলার এই জট কিন্তু তত বলা যাবে না। মন্ত্রী বলেন, সাক্ষ্য আইন যুগপোযোগী করা হচ্ছে। সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধারার ৪ উপধারা বাতিল করা হচ্ছে। এই আইনের ১৪৬ ধারার ৩ উপধারা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংযোজন করে দিয়ে গিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা। যেখানে বঙ্গবন্ধু এটা সংযোজন করে দিয়ে গেছেন, সেখানে তার কন্যার সরকার এমন কোনো আইন কি করতে পারে, যাতে বাক-স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হয়? না, এটা করতে পারে না এবং আমরা সেটা করিনি। তিনি বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। সেসব সমস্যা হল সাইবার ক্রাইম। আমাদের এই সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করতে হবে। দণ্ডবিধি অনুযায়ী অনেক অপরাধ আছে যেগুলো আর ফিজিক্যালি করা হয় না, কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়। সেটার বিচার করা হবে কীভাবে? সে জন্য তো একটা আইন করতে হবে। আমরা সে জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার পরে কিছু অপব্যবহার এবং অ্যাবিউজ যে হয়নি, তা তো নয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট করেছিলেন। এটা করেছিলেন একটা বিশেষ কারণে। তখন মানুষ খাদ্য মজুদ করত, স্মাগলিং করত। তখন প্রচলিত কাস্টমস আইনের স্মাগলিং ১৫৬ ধারা দিয়ে এই অপরাধ বন্ধ করা যাচ্ছিল না। স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্টের সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার হয়েছে ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত।

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net