রায়হান হত্যা মামলা, সাক্ষী দিলেন স্ত্রী তান্নী

স্টাফ রিপোর্ট:: || ২০২২-০৫-১১ ০৫:৫৯:৫৪

image

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশী হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যার ঘটনায় মামলার স্বাক্ষ্য দিয়েছেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী।

বুধবার (১১ মে) তান্নীর সাক্ষ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হল। মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার বাদী ও রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী সাক্ষ্য প্রদান করেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রায়হানের মা ও চাচা সাক্ষ্য দেবেন বলে কথা রয়েছে।

 

সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি নওশাদ আহমেদ চৌধুরী জানান, আজকে বাদীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সময় চাওয়ায় আজ জেরা করা হয়নি। আদালত তাদেরকে একদিন সময়ে দিয়েছেন। আগামীকাল তারা জেরা করবেন।

 

এরপরে রায়হানের মা সালমা বেগম ও চাচার সাক্ষ্য নেওয়া হবে। তিনি জানান, এই মামলায় ৬৯ জন সাক্ষী রয়েছেন। এদিকে, রায়হান হত্যা মামলার পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে ‘স্টেট ডিফেন্স’ করবে বলে জানিয়েছেন পিপি নওশাদ। রায়হান হত্যা মামলায় গতকাল বুধবার (১০ মে) সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল।

 

তবে একজন আইনজীবীর মৃত্যুতে কোর্ট রেফারেন্স থাকায় এবং আসামিপক্ষ হাইকোর্টে পিটিশনের কথা জানানোর প্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

 

এদিকে বুধবার দুপুরে রায়হান হত্যা মামলার আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ অন্যান্যদের কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।

 

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিমের আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে রায়হান হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়।

 

এরও আগে ১২ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের তারিখ থাকলেও সেটি পিছিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।

 

পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তে প্রথমে পুলিশ ছিল।

 

পরে সে বছরের ১৩ অক্টোবর মামলাটি স্থানান্তর করা হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে। গত বছরের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

 

১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাদের পাঁচজনই পুলিশ সদস্য। তারা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ।

 

অভিযুক্ত অপরজন আব্দুল্লাহ আল নোমান সিলেটের কথিত সাংবাদিক। তা বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। তার বিরুদ্ধে ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে।

 

এই ছয়জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net