কানাডিয়ান সেই তরুণীর দেশে ফিরে যেতে কোন বাঁধা নেই
সিলেটসান ডেস্ক:: ||
২০২২-০৪-১৭ ০২:৫৩:২০
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশে এসে আটকে পড়ার অভিযোগ আনা কানাডার সেই তরুণী অবশেষে নিজ দেশে ফিরছেন।
নিজেকে মুক্ত করতে কানাডা সরকার ও ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাই কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষ হল রোববার। জন্মসূত্রে কানাডার তরুণীকে সে দেশের সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রেক্ষিতে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। রিটের শুনানির সময় আদালতে তরুণীর বাবা-মা ও কানাডিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশি বাবা-মায়ের ওই সন্তানের জন্ম কানাডায়। প্রায় ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১০ মাস আগে তার বাবা-মা বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে তার নানী ও মা সবসময় বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী ল্যান্ডফোনে কানাডা সরকার ও ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাই কমিশনকে তাকে জোরপূর্বক ঘরবন্দী করে রাখার কথা জানান। ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথাও জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপর কানাডিয়ান হাইকমিশনের পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) হাইকোর্টে রিট দায়ের করে।
রিটে পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মুগদা থানার ওসি এবং ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৫ এপ্রিল তরুণীকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তরুণীর অসম্মতিতে তাকে ১০ মাস ধরে আটক রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, একজন প্রাপ্তবয়সী নারীকে গত বছর তার মা নিয়ে আসেন। বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর ১০ মাস আটক রাখা হয়। তার মোবাইল ফোন দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় তাকে হাজিরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আবেদনে চাওয়া হয়েছে, তার শিক্ষা জীবন চালিয়ে নিতে তাকে কানাডায় ফিরে যেতে যেন সুযোগ দেওয়া হয়।
সিলেটসানডটকম -এবিসি
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net