এবার চলে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

সিলেট সান ডেস্ক :: || ২০২২-০২-১৫ ১১:১৮:৪৮

image
বাংলা গানের স্বর্ণযুগের শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মাত্র কয়েকদিন আগে কোটি কোটি শ্রোতা ও দর্শককে কাদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান লতা মুঙ্গেশকর। এরমধ্যে তার মৃত্যু দর্শকদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য শান্তনু সেন টুইট করে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর জানিয়েছেন। তার মৃত্যুতে শোকাহত ভক্ত অনুরাগীরা। বিনোদন ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টজনরাও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। ২৬ জানুয়ারি বুধবার রাতে বাথরুমে পড়ে গিয়ে আঘাত পান এই শিল্পী। পরদিন কিংবদন্তি এই শিল্পী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার দু’দিন আগেই কেন্দ্রের 'পদ্মশ্রী' সম্মান প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। বলেছিলেন, ‘মেরা দিল নাহি চাহতা হায়। আর একটা কথা জেনে রাখুন। আমার শ্রোতারাই আমার পুরস্কার।’ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তার শারীরিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সকালে তার রক্তচাপ কমে যায়। তার দুটি ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল। চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ স্থিতিশীল হচ্ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ হঠাৎ তার শারীরিক জটিলতা বাড়ে। ১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর কলকাতার ঢাকুরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ৬ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ছোটবেলা থেকে সংগীতের প্রতি অনুরাগ। পণ্ডিত সন্তোষ কুমার বসু, অধ্যাপক এ টি কান্নান, অধ্যাপক চিন্ময় লাহিড়ীর কাছে তার শিক্ষা শুরু। ছিলেন উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁর শিষ্যা। প্রথমে মুম্বাইয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। রাইচাঁদ বড়াল, শচীন দেববর্মনের মতো সংগীত পরিচালকের তত্ত্বাবধানে ‘আঞ্জান গড়’, ‘তরানা’র মতো সিনেমার গানে নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছিলেন। প্রায় ১৭টি হিন্দি ছবির জন্য গান গাওয়ার পর ব্যক্তিগত কারণে কলকাতায় চলে আসেন তিনি। সেই থেকে শুরু বাংলার সুরেলা জগতের এক নতুন অধ্যায়। ‘সপ্তপদী’, ‘পথে হল দেরী’, ‘অগ্নি পরীক্ষা’, ‘দেওয়া নেওয়া’, ‘পিতা পুত্র’ – একের পর এক সিনেমায় তার কণ্ঠের জাদু শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে বললে কম বলা হবে। বলা যায়, বাঙালির সাংস্কৃতিক মননে যোগ করেছে এক অভূতপূর্ব মাইলফলক। এক সময় নাকি সুচিত্রা সেনের কণ্ঠ হিসেবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকেই ভাবতে পারতেন না সংগীত পরিচালকরা। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সলিল চৌধুরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে বহু কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন গীতশ্রী। ১৯৬৬ সালে কবি ও গীতিকার শ্যামল গুপ্তকে বিয়ে করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শিল্পীর গাওয়া বহু গানের কথাই শ্যামল গুপ্তর লেখা। ১২ বছর বয়স থেকে গান গাইছেন। সংগীতের পেছনে জীবনের ৭৫টি বছর ব্যয় করেছেন। ‘এ শুধু গানের দিন, এ লগন গান শোনাবার’, ‘মধুমালতী’, ‘হয়তো কিছুই নাহি পাব’, ‘তুমি নাহয়’, ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’, ‘যমুনা কিনারে’সহ অনেক কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ১৯৭১ সালে ‘জয়জয়ন্তী’ ও ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সন্ধ্যা। এ ছাড়া ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার তাকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে সম্মানিত করে। সূত্র: আনন্দবাজার, জি-নিউজ ও এনডিটিভি

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net