মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এছাড়া কমলগঞ্জের সর্বত্র ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর ও মাথা ব্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকদের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা যায়।
শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলায় তাপমাত্রা ৩৩ ও ৩৬.৬ ডিগ্রির মধ্যে উঠা-নামা করছে। বুধবার সকাল ১২ টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার দেশের সব্বোর্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়স। তাপমাত্রা উঠা-নামা করার কারনে সকাল থেকে গভীর রাত্রি পর্যন্ত প্রচন্ড গরমের তীব্রতা অনুভুত হচ্ছে। বেলা বাড়তেই হাটবাজারে কমে যাচ্ছে লোকের সংখ্যা। গত চার/পাঁচ দিন ধরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকায় খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। যে কারনে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ দিনে বাসা-বাড়ী থেকে বের হচ্ছেন না। খরতাপের মাত্রা বাড়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বাইরে কাজ করতে পারছেন না। অত্যধিক গরমে রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, দিমমজুররা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফসলের মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে ঋৎপাদন হ্রাস পাওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় বাড়ি-ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর ও মাথা ব্যথার রোগী রয়েছেন। বাড়ি ঘরের একজন এসব রোগে আক্রান্ত হলে পর্যায় ক্রমে বাড়ির সবাই আক্রান্ত হচ্ছেন।
গরমের নাগরিকরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তাহির মিয়া বলেন,গরমের কারনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কাজে যেতে পারছিনা। ফলে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
শিক্ষার্থীর পিতা আব্দুল জববার বলেন, করোনার কারনে এমনিতেই শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় মনোযোগ নেই,তার উপর গরম ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে।
স্কুল শিক্ষিকা হোসনে আরা বলেন, বাড়ীতে ছোট বোন সর্দি, কাশি, জ্বর ও মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ৩ দিন আগে তিনি সহ বাড়ির সকল সদস্যরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাইভেট ফিজিশিয়ানের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থা পত্র নিয়েছেন।
প্রাইভেট ফিজিশিয়ান ডা. শ্যামলেন্দু সেন শর্মা ও ডা. পিন্টু দেবনাথ বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বিরুপ আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ অবস্থায় সর্দি, কাশি,জ্বর ও মাথায় রোগীরা আক্রান্ত হতে পারেন। ভয়ের কোন কারণ নেই। ঠিকমত চিকিৎসা সেবা নিলে রোগী এক সপ্তাহে সুস্থ্য হয়ে যাবেন।
শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজারে মাঝারি তাপদাহ বিরাজ করছে। বুধবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেরসিয়াস। মঙ্গলবার দেশের সর্ব্বোচ তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আরও কয়েকদিন অতিরিক্ত তাপদাহ থাকতে পারে।
সিলেট সান/এসএ
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net