২০২১-০৬-২২ ০৭:৪৮:২৩ / Print
যত্রতত্র বর্জ্য না ফেলা, ছড়া/খাল বা ড্রেনে বর্জ্য ফেলে পানি নিষ্কাষনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। নগরের মাটি, পানি ও পরিবেশ দূষণ রোধে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য কোন বিকল্প নেই উল্রেখ্য করে তিনি বলেন, নগরবাসির সহযোগিতায় সিলেটকে পরিবেশ দূষনমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে নগরীর জল্লারপাড়, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সচেতনামূলক প্রচারণায় লিফলেট বিতরণকালে সিসিক মেয়র বলেন, নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলুন। যত্রতত্র বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষিত করবেন না।
সচেতনতামূলক প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুল হক পাঠোয়ারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান, মাননীয় মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব মো. সোহেল আহমদ, সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আমহদ তামিম, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ প্রমুখ।
প্রচারণায় বলা হয়, যত্রতত্র বর্জ্য বিস্তার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে অর্থাৎ পরিবেশের উপাদান মাটি, পানি ও বাতাস দূষিত করে বর্জ্য নিক্ষিপ্ত স্থানে অসহ্যকর দুর্গন্ধ যুক্ত হওয়ার কারণে পাশ দিয়ে যাতায়াতে পথচারীদের সমস্যা হয়। এ থেকে পোকা-মাকড়, মসা, মাছির উৎপত্তি ঘটে। এসব কীটপতঙ্গ মানুষের সংস্পর্শে এসে মানুষকে নানা রোগে আক্রান্ত করে। আবর্জনা স্থান সংলগ্ন পানি দূষিত হয় এবং নানা ধরনের রোগ জীবাণু ছড়ায়।
শিল্প-কারখানা হাসপাতাল এলাকায়, বিপজ্জনক বর্জ্য জনস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কঠিন বর্জ্য যত্রতত্র তথা ছড়া/খাল ড্রেনের ফেলার ফলে ড্রেনেজ সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নগরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে দূষিত পানি আশপাশের বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে ঢুকে জনস্বাস্থ্যের দারুন ক্ষতি করে।
কঠিন বর্জ্যের ‘লিচেট’ ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূপৃষ্ঠস্থ পানি দূষিত করে। হাসপাতাল বর্জ্য (জীবাণু সৃষ্টিকারী বর্জ্য) যত্রতত্র ফেলানোর কারণে সংক্রামক রোগের সৃষ্টি করে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়া বাহিত রোগের বিস্তার ঘটায়।
সচেতনতামূলক প্রচারণায় (লিফলেটে) বলা হয়, নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে বা যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে স্থানীয় সরকার সিলেট সিটি কর্পোরেশন আইন-২০০৯ এর পঞ্চম তফসিল বর্ণিত অপরাধসমূহের ১৩ নম্বর ধারা অনুসারে ‘কোন রাস্তায় বা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট নহে, এই রকম স্থানে আবর্জনা নিক্ষেপ করা বা রাখা এ অপরাধ ভঙ্গের জন্য ধারা-৯৩ অনুযায়ী অনধিক পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড প্রধান করা যাইবে। এবং এই অপরাধ যদি অনবরত ভাবে ঘটতে থাকে তাহলে প্রথম দিনের অপরাধের পর পরবর্তী প্রত্যেক দিনের জন্য অপরাধীকে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড প্রদান করা যাইবে।’
সিলেট সান/এসএ