শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইংরেজী, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বাংলা ENG

সিলেট-৩ আসনে এমপি ছিলেন যারা.....

সুলতান সুমন::

২০২১-০৬-২১ ১০:২২:৩৭ /

সিলেট-৩ আসন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ এর পরই এ আসনের গুরুত্ব অপরিসীম। আসনটি ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের সময় গঠিত হয়েছিল। ২০০১,২০০৮ ও ২০১৮ সালে ৩ দফায় সীমানা নির্ধারণ শেষে সিলেট-৩ আসনটি জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা এবং বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়। 

এরপূর্বে সিলেট-৩ আসনে বালাগঞ্জ উপজেলার শুধু ৩টি ইউনিয়ন দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন, পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন ও পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০১৮ সালের সীমানা পুনঃনির্ধারনে বালাগঞ্জ উপজেলার সবগুলি ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়। 

১১ টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ জন এমপি ছিলেন সিলেট-৩ আসনে। এরমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন ৪ বার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র এমপি ছিলেন ৩ বার, জাতীয় পার্টি এমপি ছিলেন ৩ বার, ন্যাপ (পীর হাবিবুর রহমান) এমপি ছিলেন ১ বার।

সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে সিলেট-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের এমপি আব্দুর রইছ। এরপর ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে দেওয়ান শামসুল আবেদীন। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। সেই নির্বাচনে ১৫ দলের মনোনীত প্রার্থী পীর হবিবুর রহমান বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন শফি আহমদ চৌধুরী। ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে বিজয়ী হন আব্দুল মুকিত খান। এরপর ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৫ দিনের জন্য এমপি ছিলেন শফি আহমদ চৌধুরী। একই সালের জুন মাসে অনুষ্টিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে সময় জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হন আব্দুল মুকিত খান। পরবর্তীতে ২০০১ সালে সরকার গঠন করে ৪ দলীয় ঐক্যজোট সমর্তিত বিএনপি, সে সময় সিলেট-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন শফি আহমদ চৌধুরী। ২০০৬ সালের পর থেকে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে দেশ চলে যায় তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে। এরপর ২০০৮সালের শেষ দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট দুই তৃতীয়াংশ ভোটে জয় লাভ করে ও ২০০৯-এ সরকার গঠন করে। তখন নৌকা প্রতিক নিয়ে বিজয়ী হন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন।


সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসন থেকে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর গত ১১ মার্চ তারিখে জাতীয় সংসদের ২৩১ সিলেট-৩ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) অনুযায়ী উক্ত শূন্য আসনে ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ জনিত দুর্বিপাকের কারণে এ দফায় মেয়াদান্তে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় শূন্য আসনটিতে ৮ জুন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ জুন। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ জুন এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ জুন। ২৪ জুন হবে প্রতীক বরাদ্দ এবং আগামী ১৪ জুলাই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ পরিবর্তন করে ২৮ জুলাই নির্ধারণ করেছে।

 

এ জাতীয় আরো খবর

শনিবার ৮ ঘন্টা গ্যাস থাকবে না

শনিবার ৮ ঘন্টা গ্যাস থাকবে না

রাগ করে স্ত্রী চলে যাওয়ায় বাবাকে খুন করল ছেলে

রাগ করে স্ত্রী চলে যাওয়ায় বাবাকে খুন করল ছেলে

বৌভাতে যাওয়া হলনা তাদের: দরবস্তে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬

বৌভাতে যাওয়া হলনা তাদের: দরবস্তে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬

 দরবস্তে লেগুনা ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ৭

দরবস্তে লেগুনা ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ৭

 আদালতে হাজিরা দিতে আসার পথে ফেঞ্চুগঞ্জে হামলা, তরুন খুন, ভাই আহত

আদালতে হাজিরা দিতে আসার পথে ফেঞ্চুগঞ্জে হামলা, তরুন খুন, ভাই আহত

প্রবাসীরা বিনিয়োগ করলে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে: মন্ত্রী ফারুক খান

প্রবাসীরা বিনিয়োগ করলে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে: মন্ত্রী ফারুক খান