বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইংরেজী, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

মিয়ানমার অভ্যুত্থান : জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোটদানে যে কারণে বিরত থাকলো বাংলাদেশ

সিলেট সান ডেস্ক:

২০২১-০৬-২০ ০৯:৩৭:১৫ /

মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। সেখানে ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশসহ ৩৬টি দেশ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা সামরিক জান্তাকে নিন্দা জানিয়ে গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ওই প্রস্তাব গ্রহণ করে। আজ রোববার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা থেকে এ খবর জানা গেছে।

খবরে বলা হয়েছে, ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১৯টি, আর বিপক্ষে পড়েছে একটি। এছাড়া ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ, রাশিয়া, চীন, ভারত, নেপাল, ভুটান, লাওস ও থাইল্যান্ডসহ ৩৬টি দেশ। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা তার বক্তব্যে ব্যাখ্যা করেছেন কেন বাংলাদেশে এই প্রস্তাবে কোনো ভোট দেয়নি। গতকাল শনিবার বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো উল্লেখ না থাকায় বাংলাদেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, তা বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।

২০১৭ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন শুরু হওয়ার পর সবমিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের ওই প্রস্তাবে দ্রুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদে এবং স্থায়ীভাবে মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির কোনো প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তেমনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো সুপারিশ বা পদক্ষেপ নেই।


প্রতিবেশী দেশ এবং মিয়ানমারের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও এসব মৌলিক গুরুত্বের বিষয়গুলো এই প্রস্তাবে না আসায় বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থেকেছে।

বাংলাদেশ বলেছে, গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে মিয়ানমারে সংবিধান পুনর্বহালের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার বিষয়ে যেকোনো প্রস্তাব অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, যদি সেটায় রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ উল্লেখ করা না হয়। ২০১৭ সালের সংখ্যালঘু নিধনযজ্ঞের পরেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিষয়টি উল্লেখ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমারকে যেমন একপ্রকার দায়মুক্তি দিচ্ছে, তেমনি দেশটির অন্য সংখ্যালঘুরাও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশ আরও বলেছে, যদিও অনেক দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা দিচ্ছে, কিন্তু রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক সহায়তা কোনো সমাধান নয়। এ জন্য রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন এবং সেটা অবশ্যই মিয়ানমারে হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফেরত পাঠাতে যেসব শর্ত পূরণ হওয়া দরকার, তার কোনো অগ্রগতি নেই।

মিশন জানিয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় মিয়ানমারের অভ্যুত্থানে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রত্যাবাসনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এখন পর্যন্ত সেটা আসেনি, যা একটি ভুল বার্তা দিতে পারে বলে বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব বিষয় প্রস্তাবে না আসায় বাংলাদেশ ভোট দানে বিরত থেকেছে বলেও বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে।সুত্র. বিবিসি বাংলা

 

এ.কে.ডি

এ জাতীয় আরো খবর

ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ফিলিস্তিন ইস্যু: কানাডার পার্লামেন্টে যুগান্তকারী প্রস্তাব পাস

ফিলিস্তিন ইস্যু: কানাডার পার্লামেন্টে যুগান্তকারী প্রস্তাব পাস

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী পুতিন

থামছে না যুদ্ধ: হাসপাতালে বিয়ে দুই ফিলিস্তিনি চিকিৎসকের

থামছে না যুদ্ধ: হাসপাতালে বিয়ে দুই ফিলিস্তিনি চিকিৎসকের

ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট ইউনিয়নের আহ্বানে  সভায় যোগদান করলেন সুলতান

ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট ইউনিয়নের আহ্বানে সভায় যোগদান করলেন সুলতান

পাকিস্তানে নির্বাচনের ফল প্রকাশে দেরি, কী ঘটছে?

পাকিস্তানে নির্বাচনের ফল প্রকাশে দেরি, কী ঘটছে?