শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইংরেজী, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় মেয়রের প্রস্তাব

সিলেট সান ডেস্ক::

২০২১-০৬-১৮ ০৬:১৬:১৬ /

সিলেট নগরে ঘন ঘন ভূমিকম্পের ঝুঁকিহ্রাসকরণে কয়েকটি প্রস্তাবনা রেখেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সিলেটে ‘ভূমিকম্প ঝুঁকিহ্রাস বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় তিনি লিখিত এই প্রস্তাবনা রাখেন। ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসিনের সভাপতিত্বে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মেয়র বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের ভবনগুলির ঝুঁকি নিরূপণের লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহ করে ডিপিপি প্রণয়ন করে অনুমোদন, টেন্ডার আহ্বান ও কনসালটেন্ট নিয়োগ দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। এই অবস্থায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসে সভায় প্রস্তাব হলো, চলমান আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের রাজউক পার্টকে রিভাইজডের মাধ্যমে সিলেট সিটি করপোরেশনে কার্যক্রম বাস্তবায়ন।

রাজউকের মাধ্যমে ভালনারএবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড প্রায়োরিটি বেসিস ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব রিস্ক সেনসিটিভ ল্যান্ড ইউজ প্ল্যান প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ভালনারএবিলিটি অ্যাসেসমেন্টের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উন্নয়ন যেন টেকসই হয় তা নিশ্চিত করতে হলে দুর্যোগ সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। যদিও এটি ব্যয়বহুল তবুও মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য কাজটি আমাদের করতে হবে এবং দুর্যোগ সহনশীল নগরের জন্য আরবান ডিজাস্টারে আমাদের কুইক রেসপন্ড হতে হবে। বিদ্যমান অবকাঠামোগুলিকে রি-ইন-ফোর্স করতে হবে। নির্মাণ কাজগুলির রিজিলিয়েন্ট নিশ্চিত করতে হবে।

সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট মহানগরে ৪১ হাজার ৯৯৫টি ভবন রয়েছে। সিডিএমপি’র জরিপে ৩৮ শতাংশ হতে ৪৫ শতাংশ ওভারহেংগ ভবন রয়েছে এই নগরে। বিদ্যমান অবকাঠামোসমূহের ভূমিকম্প সহনীয় করার লক্ষ্যে বর্তমানে ভবনের ভালনারএবিলিটি নিরূপণ, ভূমিকম্প ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ইমিডিয়েট অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা জরুরি।

তিনি বলেন, ‘জাইকার সহায়তায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবনকে রেকট্রোফিটিং করার কাজ চলমান রয়েছে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘১৯৯৩ সালে বিল্ডিং কোড চালু হওয়ার আগের ও পরের নির্মিত ভবন এবং বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ডিজাইনকৃত ভবনের গুণগতমান নিরূপণ করা প্রয়োজন। সিটি করপোরেশনের মাস্টার প্ল্যানে ল্যান্ড ইউজ জোনিং করা আছে। কিন্তু রিস্ক সেনসিটিভ ল্যান্ড ইউজ প্ল্যান আমাদের নেই। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও ভূমির ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে নগরবাসীর রিস্ক বেড়ে যাচ্ছে। দুর্যোগ ঝুঁকি চিহ্নিত করার জন্য আমাদের রিস্ক সেনসিটিভ ল্যান্ড ইউজ প্ল্যান তৈরি করা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘নগরের বিভিন্ন জোনে সয়েল টেস্ট করে রিস্ক সেনসিটিভ ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ তৈরির মাধ্যমে কততলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা সম্ভব, তা নিশ্চিত করা যাবে। কারণ, ভবনের মালিকগণ যে সয়েল টেস্ট রিপোর্ট আমাদের কাছে জমা দেন, তা কতটুকু সঠিক নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাই, সিলেট সিটি করপোরেশনের বিদ্যমান ভবনের রেপিড ভিজুয়াল স্কিনিং প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট ও ডিটেইলড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে ভবনগুলির ঝুঁকি নিরূপণ সিলেট সিটি করপোরেশনের জন্য এখন সময়ের দাবি।’

 

সিলেট সান/এসএ

এ জাতীয় আরো খবর

ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, সিসিকের জরিমানা

ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, সিসিকের জরিমানা

 পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করলেন আনোয়ারুজ্জামান

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করলেন আনোয়ারুজ্জামান

 পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করলেন আনোয়ারুজ্জামান

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করলেন আনোয়ারুজ্জামান

দায়িত্বগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত, মেয়র'র কৃতজ্ঞতা

দায়িত্বগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত, মেয়র'র কৃতজ্ঞতা

কয়েল, মশারি কিছুই মানছে না মশা

কয়েল, মশারি কিছুই মানছে না মশা

শুরুতেই সুসংবাদ: প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের

শুরুতেই সুসংবাদ: প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের