শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইংরেজী, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

সিলেট নগরীর সকল ভবন পরীক্ষায় নামছেন বিশেষজ্ঞ টিম

সিলেট সান ডেস্ক:

২০২১-০৬-১০ ০৪:০৪:৩৮ /

সিলেটে সিরিজ ভূ-কম্পনের পর এবার ঝুঁকি বিবেচনায় আগামী ছয়মাসের মধ্যে নগরীর সকল ভবন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে মাঠে নামছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিশেষজ্ঞ টিম। এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে বুধবার বিকেলে শাবিপ্রবিতে জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাথে কাজ করতে এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তারা।

জানা গেছে, এই মুহূর্তে বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণার চেয়ে ভূমিকম্প ঝুঁকির শহরে মানুষকে বাঁচানো বা ক্ষয়ক্ষতি কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সেদিকে লক্ষ রেখেই কাজ শুরু করেছেন। এর অংশ হিসেবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে নগরীর সকল ভবনের সক্ষমতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দেবেন। চিহ্নিত করবেন ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবন।

এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভিতর যতগুলো ভবন আছে সবগুলো পরীক্ষা করা হবে। সিসিকের সমন্বয়ে আমরা এ কাজটি করব। কিন্তু এটা আমাদের পক্ষে একা করা সম্ভব না। তাই সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও ছাত্রদেরকেও নেওয়া হবে। সকলে মিলে কাজটি করব। এ ক্ষেত্রে সকল ভবন পরীক্ষা শেষ করতে হয়ত ৬ থেকে ৮ মাস সময় লাগতে পারে।’

অপরদিকে সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, বিপজ্জনক ডাউকি ফল্টলাইনে ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কম। তাই সম্ভাব্য দুর্যোগের এই মাত্রা ধরে নিয়েই কর্মপরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

ভূমিকম্পের নতুন করে কোন ফল্ট তৈরি হয়েছে কি না তা নিয়ে কোন গবেষণা করার পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জহির বিন আলম বলেন, ‘ভূমিকম্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ফল্ট সেটি ডাউকি। সে হিসেবে এ ফল্ট যে কোন সময় ৬ মাত্রার ভূমিকম্প তৈরি করার শক্তি রাখে। তাই এখন গবেষণার চেয়ে মানুষকে বাঁচানো বা ক্ষয়ক্ষতি কি ভাবে কমিয়ে আনা যায় সেদিকে লক্ষ দেওয়া জরুরি। কিন্তু নতুন কোন ফল্ট তৈরি হয়েছে কি না সেটিও গবেষণা প্রয়োজন। সেটি নিয়েও কাজ হবে। আপাতত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি জরুরি।

এদিকে সোমবার ফের দুই দফা ভূমিকম্পের পর কঠোর হতে যাচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষ। সম্ভাব্য দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখে এরই মধ্যে ৩০ মে থেকে বন্ধ থাকা ৬টি মার্কেটসহ ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিকদের কাছে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে তারা।

এর আগে গেলো ২৯ মে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সিলেট। আবার ৩০ মে ভোর রাতে ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয়। পরে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে নগর কর্তৃপক্ষ থেকে বড় ভূমিকম্পের আগাম সতর্কতা হিসেবে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে সিসিক। চিহ্নিত করা হয় ২৪ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। নির্দেশ দেওয়া হয় ১০ দিন বন্ধ রাখার। কিন্তু ৯ দিনের মাথায় ৭ জুন সন্ধ্যায় ফের দুই দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সিলেট নগর। ফাটল ধরা দেয় রাজা জিসি হাইস্কুল ভবন। এতে আবারও নড়েচড়ে বসেছে সিসিক কর্তৃপক্ষ।

এ জাতীয় আরো খবর

উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু

উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু

কোম্পানীগঞ্জে বাস সিএনজি সংঘর্ষে  নিহত ২

কোম্পানীগঞ্জে বাস সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২

দেবাশীষ দেবুর মায়ের মৃত্যুতে ইমজা শোক

দেবাশীষ দেবুর মায়ের মৃত্যুতে ইমজা শোক

পরলোকে সাংবাদিক দেবাশীষ দেবুর মা

পরলোকে সাংবাদিক দেবাশীষ দেবুর মা

জৈন্তাপুরে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু

জৈন্তাপুরে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু

শনিবার ৮ ঘন্টা গ্যাস থাকবে না

শনিবার ৮ ঘন্টা গ্যাস থাকবে না