২০২১-০২-২৮ ০৫:০৬:৩৫ / Print
হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ থেকে লাকি পরিবহনের একটি গাড়ী গত শনিবার সকালে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার তিমিরপুর পয়েন্ট থেকে এক কলেজ যাত্রী ওই বাসে হবিগঞ্জ শহরের যাওয়ার জন্য উঠেন। বাসে উঠে বসার পর থেকেই হেল্পার ও সুপারভাইজার কলেজ পড়ুয়া যাত্রীকে উত্যক্ত করে। বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল। তারা গাড়ীতে ঘুমিয়ে পড়ে। এই সুযোগে গাড়ীর চালক এবং হেলপার ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে যৌন হয়রানীর চেষ্টা করে।
ওই কলেজ ছাত্রী হবিগঞ্জ শহরের নামতে চাইলে সুপারভাইজার ও হেল্পার কলেজ ছাত্রীকে গাড়ি থেকে না নামিয়ে গাড়ী দ্রুত গতিতে চালাতে থাকে ড্রাইভার। এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রী চিৎকার দিলে তাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে দেয় হেল্পার।
কলেজ ছাত্রী হবিগঞ্জ শহরের প্রাচীন বিদ্যাপাঠ বৃন্দাবন সরকারি কলজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ওই দিন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী পরীক্ষা শেষে বাড়িতে এসে গাড়ীর সুপারভাইজার ও হেল্পারের অস্যভতার বর্ণনা তার আত্মীয় স্বজনের কাছে দেয়। পরদিন রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই লাকি পরিবহনের গাড়ী (ঢাকা-মেট্রা-ব ১৫-৩৪৬৪) আটক করে স্থানীয় জনতা। উত্তেজিত জনতা গাড়ী সুপারভাইজার ও হেলপারকে উত্তমমধ্যম দিলে ঘটনার স্বীকার করে।
পরে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই শাহীন ও সম্রাটসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ীসহ সুপারভাইজার ও হেল্পারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। আটককৃত হেল্পার নরসিংদি ইছাক আলী গ্রামের রফিজ মিয়ার পুত্র ইব্রাহিম খলিল (৩০), সুপারভাইজার রতন সূত্রধর (৪৬) মুন্সীগঞ্জের হামরা গ্রামের মৃত মাখন সূত্রধরের ছেলে। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ডালিম আহমদ ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।
সিলেট সান/এসএ