২০২১-০২-২২ ০৯:০৯:৪৬ / Print
সিলেট শহরতলির শাহপরান থানার মীরমহল্লায় ট্রিপল মার্ডারের অভিযোগে আটক আহবাব হোসেন আবাদকে (১৭) গাজীপুরের টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কিশোরের বয়সের প্রমাণপত্র দাখিল করায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় সিলেটের শিশু আদালতের বিচারকের দায়িত্ব পালন করা জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমান এ আদেশ দেন। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তাকে টঙ্গীতে পাঠানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মীরমহল্লার বাসায় শয়নকক্ষ থেকে রুবিয়া বেগম চৌধুরী ও তার মেয়ে জান্নাতুল হোসেন (৯) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আর আহত অবস্থায় তার সৎ ভাই তাহসনাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ২টার দিকে সে মারা যায়।
এ সময় কক্ষে রক্তমাখা ছুরিসহ রুবিয়ার সৎ ছেলে আহবাব হোসেন আবাদকে (১৭) আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে নিহত রুবিয়ার ভাই আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে শাহপরান থানায় হত্যা মামলা করেন।
তবে গত শনিবার দুপুরে মহানগর পুলিশ ওই কিশোরের নাম ও পরিচয় উল্লেখ করে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এতে হত্যা মামলার আসামি আবাদের বয়স ১৯ বছর উল্লেখ করা হয়।
তবে আবাদের বাবা জানান, তাঁর ছেলের বয়স ১৮ বছরের নিচে। আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতেও ওই কিশোর বলেছে, তার বয়স ১৭ বছর।
আদালত সূত্র জানায়, শাহপরান থানাপুলিশের ‘শিশু ডেস্ক’-এর মাধ্যমে আবাদের বয়সের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করে শিশু আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আবাদ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সনদপত্র অনুযায়ী তার বয়স ১৭ বছর ১ মাস। বয়সের এই প্রমাণপত্র শিশু আদালতে দাখিল করলে বিচারক এ আদেশ দেন। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তাকে টঙ্গীতে পাঠানো হবে।
সিলেট সান/এসএ