২০২১-০১-২৮ ০০:৩৩:০৭ / Print
শীত মৌসুম বিদায়ের আগে আরেক দফা হাড় কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে। ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা শতভাগ। সাথে বিরাজ করছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। এছাড়াও পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রংপুরে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দিনাজপুর, রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এর উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।
হিমেল হাওয়া ও কন কনে শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। তারা বের হতে পারছে না কাজে। শীতের তীব্রতায় বাড়ছে মানুষের রোগ-বালাই।কনকনে বাতাসে শিশু এবং বৃদ্ধরা পড়েছে চরম বিপাকে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মাঘ মাসের মাঝামাঝি চলছে। ইতোমধ্যে শীতের অনুভূতিও বেড়েছে। বিদায়ের আগে আরেকদফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী, রংপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমবে। একইসঙ্গে মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা হবে।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই শৈত্যপ্রবাহ চলতি মৌসুমের তৃতীয় শৈত্যপ্রবাহ বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রংপুরের রাজারহাটে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বড় এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়।
গত ১৮-২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬-৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ জানুয়ারি বদলগাছিতে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিলেট সান/এসএ