২০২১-০১-২৭ ১২:৩৩:৪৭ / Print
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ের পথে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য চট্টগ্রামের নগরপিতা হতে যাচ্ছেন তিনি।
বুধবার রাত ১১টা পর্যন্ত ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫০৪টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ৯১৫ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬০৭ ভোট।
এর আগে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকালে একজন নিহত, বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষ, গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
সব কেন্দ্রে এবারই প্রথমবার ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) অনুষ্ঠিত হয়। একদিন আগেই প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের নিয়ে নতুন পদ্ধতির এ ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শেখাতে ‘মক ভোটিং’-এর ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে ভোটগ্রহণ শুরু হলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. আলাউদ্দিন নামের একজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ইউসেফ আমবাগান স্কুল কেন্দ্রের বাইরে এ সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। নিহত আলাউদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমান।
১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। সকাল ১০টার দিকে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপি মনোনীত ডা. শাহাদাত হোসেন ছাড়াও আরও পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী।
সিলেট সান/এসএ