শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইংরেজী, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বাংলা ENG

এমসি ছাত্রাবাসে ধর্ষণ : আবারও পেছালো সাক্ষ্য গ্রহণ

স্টাফ রিপোর্ট::

২০২১-০১-২৭ ০৪:২৩:২৯ /

সিলেটের মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আজ‌ও সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। আগামী তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্য্য করেন। সাক্ষীর প্রতি সমন প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।


বুধবার(২৭ জানুয়ারি) সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত তারিখে সকাল ১১ টায় সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হকের আদালতে মামলার ৮ আসামিকে হাজির করা হলেও আসেননি কোনো সাক্ষী। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি‌ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখেও সাক্ষীরা হাজি হননি।

নারী ও  শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পিপি রাশিদা সাঈদা খানম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মামলার প্রথমে বাদীপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা।

 

বাদীপক্ষের আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী জানান, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি আদালতে এ দুটি মামলা একসাথে বিচার কাজ শুরু করার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু বিচারক আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর আমরা এই আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি। উচ্চ আদালতে বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আজ সাক্ষীদের হাজির করা হয়নি।


তিনি জানান, ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের আগে তার স্বামীকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়। ধর্ষণ মামলার আট আসামিই এই মামলার আসামি। এতে ধর্ষণ মামলার সাক্ষীদেরও সাক্ষী রাখা হয়। একই ঘটনার পৃথক দুটি মামলা দুটো আদালতে চললে বিচারকার্য বিলম্বিত হতে পারে। এছাড়া সাক্ষীদের দুই জায়গায় সাক্ষ্য দিতে হবে এবং বিচারও প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিবে। তাই আমরা দুই মামলা একই আদালতে একই সাথে চালানোর আবেদন করেছি।

জানা যায়, আজ বিচারক বাদীপক্ষের আইনজীবীকে হাই কোর্টের আদেশ দ্রুত নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেন।

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় মোট ৫১ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। আজ মামলার বাদীসহ ৫ জনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল।

গত ১৭ জানুয়ারি ধর্ষণ মামলার মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

এতে সাইফুর রহমানকে প্রধান করে ছয় জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত থাকা এবং অপর দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে দল বেঁধে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আসামি রবিউল ও মাহফুজুরকে ধর্ষণে সহায়তা করতে অভিযুক্ত করা হয়। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিতি।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। কলেজের গেট থেকে স্বামীসহ তাকে ধরে ছাত্রাবাসে এনে স্বামীকে বেঁধে নারীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।

 

সিলেট সান/এসএ

এ জাতীয় আরো খবর

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন, আসামী পলাতক

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন, আসামী পলাতক

 কাউন্সিলর নিপু জামিনে মুক্ত

কাউন্সিলর নিপু জামিনে মুক্ত

বাসিয়া নদীর পুরনো সেতু ভেঙে ফেলায় এলজিডি নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি

বাসিয়া নদীর পুরনো সেতু ভেঙে ফেলায় এলজিডি নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি

 অবসরের ৩ বছর পার না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: হাইকোর্ট

অবসরের ৩ বছর পার না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: হাইকোর্ট

ফেঞ্চুগঞ্জে দোকান কর্মচারী সজল হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন  কারাদণ্ড

ফেঞ্চুগঞ্জে দোকান কর্মচারী সজল হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সুবিদবাজারে ডাচ-বাংলার এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ টাকা গায়েব

সুবিদবাজারে ডাচ-বাংলার এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ টাকা গায়েব