২০২১-০১-১৯ ০৮:২৪:১২ / Print
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রিয় অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলু। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, সকালে হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর সর্বজনের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জ্ঞাপনের জন্যে বিকেল ৩টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে। এ সময় তাকে শেষবারের মতো দেখতে শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে হাজির হন ভক্ত, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ আসর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। সেখানে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।
রাজধানী ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মুজিবুর রহমান দিলু। জানুয়ারির শুরুর দিকে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিনয়ের পাশাপাশি মুজিবুর রহমান দিলু বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিটিভিতে প্রচারিত হুমায়ূন আহমেদের ‘সংশপ্তক’ নাটকে বড় মালু চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন দিলু। অনেকে তাকে বড় মালু নামেই চেনেন।
তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হচ্ছে ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙ্গের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘নীল পানিয়া’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা কী তামাশা’ প্রভৃতি। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় নাটক ‘তথাপি’, ‘সময় অসময়’ ও ‘সংশপ্তক’–এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন মজিবুর রহমান দিলু।
মুজিবুর রহমান দিলুর জন্ম ১৯৫২ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে। মঞ্চ থেকে অভিনয় জীবন শুরু করে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে অভিনয় শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়মিত অভিনয় করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বেশ কিছুদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন।
এমআরএম