২০২১-০১-১২ ০০:১৯:৩৪ / Print
প্রশাসনের বিরুদ্ধে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বলেছেন, একরাম চৌধুরী (নোয়াখালীর এমপি), নিজাম হাজারী (ফেনীর এমপি), নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, জেলা নির্বাচন অফিসার মিলে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কবিরহাট ও ফেনীতে এক বাড়িতে বসে তারা নির্বাচন বানচাল করার যড়যন্ত্র করছে।
তিনি সোমবার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে রুপালি চত্বরে ব্যবসায়ীদের আয়োজনে এক নির্বাচনী সভায় এসব কথা বলেন। আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমি নির্বাচনকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিয়েছি।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেনকেও সতর্ক করে নৌকার মেয়র প্রার্থী বলেন, এখানে ভোটে কোনো গোলযোগ হলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে উনারও দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরেরও দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
কাদের মির্জা বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে যদি এখানে কোনো লাশ পড়ে, কোনো মায়ের বুক খালি হয়, কারও বাড়িঘর, খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়, ভোটডাকাতি বা নির্বাচনী প্রহসন হয়- তা হলে এসব কিছুর দায়দায়িত্ব নোয়াখালীর ডিসি-এসপি ও নির্বাচন অফিসারকে নিতে হবে।
জেলা প্রশাসকের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন এমপির নামযুক্ত মাস্ক কীভাবে আপনি পরেন। আপনি তো নিরপেক্ষ নন।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য একরামুল কবির চৌধুরীর সমালোচনা করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, চাকরি বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। সে আমাকে ধমকায় মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভয় দেখিয়ে কী হবে, আমি ভয় পাই না।
মিডিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, পত্রিকাগুলো আমার কথা হুবহু না লিখে এডিট করে আমার কথাগুলো বিকৃত করে প্রকাশ করছে। এগুলো প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের মন্ত্রীর নিকট পাঠিয়ে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, ব্যবসায়ী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপল, আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান প্রমুখ।
এমআরএম