শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইংরেজী, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

শিরোনাম : আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ এপিবিএন সিলেট এর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্বোধন বাংলাদেশী কর্মীদের ভিসা সহজ করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু কোম্পানীগঞ্জে বাস সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২ সুনামগঞ্জে ট্রাক সিএনজি সংঘর্ষে একজন নিহত দেবাশীষ দেবুর মায়ের মৃত্যুতে ইমজা শোক পরলোকে সাংবাদিক দেবাশীষ দেবুর মা সংবাদ সম্মেলন : কম খরচে জটিল সব চিকিৎসা করা যাবে জীবনজ্যোতি হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করতে আগ্রহী লাফার্জহোলসিম

ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯ বার আঘাত এসেছে: প্রধানমন্ত্রী

সিলেট সান ডেস্ক ::

২০২৪-০১-০৪ ০৯:৫৪:২১ /

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছি। এজন্য বারবার আমার ওপর আঘাত এসেছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লক্ষে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, বারবার গ্রেপ্তার হয়েছি।

আমাকে অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি দমে যাইনি।’ সংসদ নির্বাচনে দলীয় ইশতেহার নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ভাষণের শুরুতেই দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, '২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ '৭৫ পরবর্তী সময়ে চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে সাফল্যের সঙ্গে বর্তমান মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছে।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।' তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করেন, দুঃখের বিষয় যে তারা সঠিক তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরেন না। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা তাদের চরিত্র।

মনে হয়, বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি দেখলে তারা বিমর্ষ হয়ে পড়ে।' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ নেতাকর্মীকে, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া,

আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজ উদ্দিনসহ দলের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে স্মরণ করেন। বিএনপি-জামাত জোটের অগ্নি-সন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পাকিস্তানের ২৪ বছরের শোষণ এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পোড়া-মাটি নীতির ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো ও অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন।

মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরকার পরিচালনা করে বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছরে তা বাড়িয়ে ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন।

১৯৭৬ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবৈধ সরকারগুলো দীর্ঘ ১৬ বছরে মাথাপিছু আয় মাত্র ৫ ডলার বাড়ায়। জাতির পিতার আমলে প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ অতিক্রম করে। কিন্তু '৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের সব উন্নয়ন অগ্রগতি।'

'দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, '৭৫-এর পরবর্তী অবৈধ সরকারগুলোর জনবিচ্ছিন্নতা, লুটপাট ও দর্শনবিহীন রাষ্ট্র পরিচালনা বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছিল বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং ভিক্ষুক-দরিদ্র-হাড্ডিসার মানুষের দেশ হিসেবে। তখন দেশে দারিদ্রের হার ছিল প্রায় ৫৫ শতাংশ। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা দারিদ্র্য বিমোচনে বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ নেই। আমরা পার্বত্য শা‌ন্তিচুক্তি করে পাহাড়ে শা‌ন্তি প্রতিষ্ঠা করি।

দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু, তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি যেমন-আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ফেরা, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মতো কর্মসূচি দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কৃষক ও কৃষি-বান্ধব নীতি গ্রহণের ফলে দেশ দ্রুত খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।

পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন খাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালা নেই, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে।' '২০০১ সালের ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে' জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশ যখন আর্থিক স্থবিরতা কাটিয়ে আর্থসামাজিক উন্নয়নের মহাসড়কে অভিযাত্রা শুরু করে, ঠিক তখনই ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি-জামাত আবার ক্ষমতায় আসে।

রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় শুরু হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন। ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। শুধু রাজনৈতিক কারণে বহু চলমান উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত করে দেওয়া হয়। "হাওয়া ভবন" খুলে অবাধে চলতে থাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট,

দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুঃশাসন।' '২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, '১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে।

মানুষ আজ স্বপ্ন দেখে উন্নত জীবনের। স্বপ্ন দেখে সুন্দরভাবে বাঁচার।' এরপর তিনি ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শেষ বছরে বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক অবস্থার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।

এ জাতীয় আরো খবর

তাপমাত্রা বাড়লেই বেড়ে যায় লোডশেডিং

তাপমাত্রা বাড়লেই বেড়ে যায় লোডশেডিং

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে সশস্ত্র আরও জলদস্যু, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে সশস্ত্র আরও জলদস্যু, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

জলদস্যুদের কবলে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে বৈঠক ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

জলদস্যুদের কবলে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে বৈঠক ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজ পবিত্র শবেবরাত

আজ পবিত্র শবেবরাত

২১ গুণীজনের হাতে ‘একুশে পদক-২০২৪’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

২১ গুণীজনের হাতে ‘একুশে পদক-২০২৪’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর