২০২৩-১১-০৬ ২২:৪৪:১৩ / Print
ভারতের কর্নাটকে সরকারি এক কর্মকর্তাকে বাসায় ঢুকে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিমা কে এস নামের ওই নারী কর্মকর্তা পরিচিত মহল ও সহকর্মীদের কাছে অত্যন্ত সাহসী ও প্রতিভাবান হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্ণাটকের খনি ও ভূতত্ত্ব বিভাগের উপপরিচালক ছিলেন প্রতিমা। বেঙ্গলারুর সুব্রামানিয়াপোরায় একাই থাকতেন তিনি। আর সন্তানকে নিয়ে তার কৃষিবিদ স্বামী থাকতেন থার্তালি শহরে।
গত শনিবার অফিস শেষে প্রতিমাকে বাড়িতে নামিয়ে দেন তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক। সেদিনই রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুন হন তিনি। ওই সময় তার স্বামী ও সন্তান কেউ বাসায় ছিলেন না। প্রতিমার ফোনে শনিবার রাতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাননি তার ভাই।
পরে গতকাল রবিবার সকালে বাসায় গিয়ে প্রতিমার মরদেহ দেখতে পান ভাই। কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় প্রতিমার সাবেক গাড়িচালককে আজ সোমবার আটক করা হয়েছে। প্রতিমার সহকর্মীরা জানান, প্রতিমা ছিলেন একজন সাহসী কর্মকর্তা। বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন তিনি।
এসব অভিযানের কারণেই তিনি খুন হয়েছেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। কর্নাটক পরিবেশবিষয়ক দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দিনেশ বলেন, ‘অভিযান হোক কিংবা কাজ, নিজের কাজে দারুণ সফল ছিলেন প্রতিমা। সম্প্রতি তিনি কয়েক জায়গায় সফল অভিযান চালিয়েছেন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী তিনি কাজ করেছেন এবং সুনাম অর্জন করেছেন।’ ২০০৮ সালে ভূতত্ত্ববিদ হিসেবে খনন ও ভূতত্ত্ব বিভাগে যোগ দেন প্রতিমা। বেঙ্গালুরুর রামনগরে বছরখানেকের বেশি কাজ করেন তিনি। গত বছর তাকে উপপরিচালক পদে পদন্নোতি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি একটি অবৈধ পাথরখনিতে অভিযান চালান তিনি। সেখানে বিজেপির আইনপ্রণেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ঘরে ঢোকার সময় তার গলা কাটা হয়। কয়েকবার ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
এরপর হামলাকারী তাকে টেনে ঘরে নিয়ে যায়। ঘরে চুরি কিংবা ডাকাতির কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। গতকাল সোমবার সকালে প্রতিমার সাবেক গাড়িচালককে আটক করেছে পুলিশ। ১০ দিন আগে কিরন নামের ওই গাড়িচালককে বরখাস্ত করেছিলেন প্রতিমা।