শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ইংরেজী, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বাংলা ENG

শিরোনাম : গবেষণা : শকুনের সংখ্যা কমায় বেড়েছে মানুষের মৃত্যুর হার ছাত্রদের সাথে মিশে তৃতীয় পক্ষ সিলেটে নাশকতা চালিয়েছে: এসএমপি কমিশনার সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে শাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান, পুলিশের সঙ্গে বাক বিতন্ডা বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতকারীদের সংঘাতের সুযোগ করে দেবেন না: জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি, ফুটো হয়ে গেছে কানের ওপরের অংশ লাফার্জহোলসিম'র টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধা পরিদর্শণে নাসিক আমাদের সিলেট হলো সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : ইসকন মন্দিরে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বিপিজেএ’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ইউসুফ আলী সংবর্ধিত নানা আয়োজনে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা পালিত

ভাগ্নের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বড়লেখার আব্দুল মতিনের

স্টাফ রিপোর্ট ::

২০২৩-০৪-২৪ ১৪:১৮:১৪ /

ভাগ্নের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মো. আব্দুল মতিনের। তাকে অনেক কৌশলে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, পলাতক আব্দুল মতিনকে গতকাল রোববার রাতে সিলেটের গোলাপগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, আব্দুল মতিন এবং একই মামলার আসামি আব্দুল আজিজ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের বারপুঞ্জিতে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা পালিয়ে বড়লেখায় এসে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন।

আব্দুল মতিন বড়লেখা থানা জামায়াতে ইসলামী এবং ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আবদুল মতিনসহ রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মৌলভীবাজারে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাত।

একাত্তরের ১৯ মে আব্দুল মতিনসহ এই মামলার অপর দুই আসামি আব্দুল আজিজ, আব্দুল মান্নান এবং তাদের সহযোগীরা মিলে মৌলভীবাজারের বড়লেখার ঘোলসা গ্রাম থেকে ন্যাশনাল

আওয়ামী পার্টির নেতা হরেন্দ্রলাল দাস, মতিলাল দাস, নগেন্দ্র কুমার দাস এবং শ্রীনিবাস দাসকে অপহরণ করে বড়লেখা সিও অফিস রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে নির্যাতন চালায়।

পরে জুড়ি বাজার বধ্যভূমিতে হরেন্দ্রলাল দাস, মতিলাল দাস ও নগেন্দ্র কুমার দাসকে হত্যা করা হয়। রাজাকার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে গিয়ে বেঁচে যান শ্রীনিবাস দাস। আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে বড়লেখার কেছরিগুল গ্রামের এক নারীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে লুটপাট বিভিন্ন জনকে নির্যাতন, বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর আব্দুল মতিন, আব্দুল মান্নান এবং আব্দুল আজিজ বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।

২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর তদন্ত শেষ হয়। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে সে বছর ১ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানা জারির দিনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করে।

তারা এখন কাশিমপুর কারাগারে আছেন। তখন থেকে আত্মগোপনে ছিলেন আব্দুল মতিন। এই আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয় প্রসিকিউশন।

পরে ২০২২ সালের ১৯ মে ট্রাইব্যুনাল তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।

র‍্যাব জানায়, আব্দুল মতিন মৌলভীবাজারের বড়লেখা ছেড়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জে তার ভাগ্নের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে তিনি নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এ জাতীয় আরো খবর

কুলাউড়ায় রেললাইনে পারুলের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ

কুলাউড়ায় রেললাইনে পারুলের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ

জুড়ীতে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

জুড়ীতে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

যমজ সন্তানকে  হত্যা, মা আটক

যমজ সন্তানকে হত্যা, মা আটক

চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন

চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন

মৌলভীবাজার-৪ আসনে আব্দুস শহীদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত

মৌলভীবাজার-৪ আসনে আব্দুস শহীদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত

বড়লেখায় র‌্যা ‘র হাতে অজ্ঞান পার্টির ২ হোতা গ্রেপ্তার

বড়লেখায় র‌্যা ‘র হাতে অজ্ঞান পার্টির ২ হোতা গ্রেপ্তার