২০২৩-০৩-২৭ ১২:২৫:২৮ / Print
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জানাজা নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে খুরশেদের দাফন করা হয়েছে।
রবিবার (২৭)রাতে নিহত খুরশেদ আলমের স্ত্রী বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। নিহত খুরশেদ আলম(৪১)বড়দল পুরানহাটি গ্রামের মৃত সাবেক মেম্বার কনাই মিয়ার ছেলে।
এর আগে উপজেলা দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন বড়দল পুরানহাটি গ্রামে নিজ বাড়িতে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনায় দুপুরে খুরশেদ আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় পুলিশ মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামী নিহতের আপন ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম(৩০)কে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহাদাত হোসেন। এবিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার জুয়েল আহমদ বলেন,ঘটনার সময় আমি হাওর রক্ষা বাঁধের কাজে ছিলাম। সেখান থেকে শুনেছি দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। দুপুরে শুনতে পাই খুরশেদ আলম মারা গেছে।
এঘটনার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাহিরপুর থানার এসআই শাহাদাত হোসেন জানান,নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউনুস আলী বলেন,এ ঘটনায় এলাকাবাসীসহ আমি নিজেও মর্মাহত হয়েছি।
সোমবার নিহতের জানাজার নামাজ শেষে এলাকার কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়,উপজেলা দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন বড়দল পুরানহাটি গ্রামে একটি মোবাইল কোম্পানি টাওয়ার রয়েছে নিহত খুরশেদ আলমের বাবাসহ আর চার চাচার। প্রতিবছরে সে জায়গা থেকে ৫০হাজার টাকা পায় তারা।
সেই টাকার একটি অংশ পায় তারাও সেই টাকার ভাগ নিয়ে খুরশেদ আলম ও আশরাফুল ইসলামের মধ্যে মতানৈক্য হয় গত কয়েকদিন ধরে।
এর মধ্যে ঘটনার দিন নিজ বাড়িতে সকাল ৮ টায় বাড়ির পাশে টিউবওয়েলের তালাবাসন ধৌতে যায় খুরশেদ আলমের স্ত্রী।
পাশে দাড়িয়ে ছিলেন খুরশেদ আলম। এসময় পানি নিতে চাইছিলেন আশরাফুল ইসলাম।
এনিয়ে ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম ও বড় ভাই খুরশেদ আলম(৪১)এর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
অপরকে গালাগালির একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর খুরশেদ আলম ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে নিজে নিজেই তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এরপর ইসিজি করার সময় দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান।
তাহিরপুর থানাট ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।