advertisement
বগুড়া প্রতিনিধি
24
Shares
facebook sharing buttontwitter sharing button
২৩ মার্চ ২০২৩ ০৭:৪৮ পিএম | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩ ১০:৫৪ পিএম
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে
বগুড়ায় মেয়ের সহপাঠীদের অভিভাবকদের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগের জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে বিচারিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচার শাখার ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার বগুড়ার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে এক শিক্ষার্থীর মাকে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে। এরপর বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।
তারা ঘটনার সম্মানজনক বিচার দাবিতে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দুই দফা সড়ক অবরোধ এবং স্কুলে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের বিদ্যালয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পালাক্রমে নিজেদের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে হয়। এটি এক্সট্রা কারিকুলামের অংশ।
সোমবার অষ্টম শ্রেণির পাঠকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল একজন বিচারকের মেয়ের। সে রাজি না হলে তার সঙ্গে সহপাঠীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন আপত্তিকর কথা লিখে পোস্ট দেয়। সেই পোস্টের নিচে তার সহপাঠীসহ অন্যরা বিচারকের মেয়েকে তীব্রভাবে আক্রমণ করে পাল্টা লিখতে শুরু করে।
এর পরের দিন মঙ্গলবার মেয়েটির বিচারক মা শিক্ষকদের মাধ্যমে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মেয়েকে নিয়ে অসম্মানজক কথা লেখার অভিযোগে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার হুমকি দেন।
একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন।