২০২৩-০৩-২০ ১১:০৩:০২ / Print
‘ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাথে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সিলেট একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারলে লাভবান হবে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও জনগণ’।
গতকাল সোমবার সিলেট নগরীর এক অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সাথে সিলেটের বাণিজ্য সম্ভাবনা বিষয়ক’ এক সেমিনারে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বক্তারা।
সিলেটস্থ সহকারী ভারতীয় হাই কমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি মেঘালয় চেম্বার এন্ড কমার্সের সাধারণ সম্পাদক ডলি খোংলা, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি তাহমিন আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল জলিল জব্বার।
সভায় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নীরাজ কুমার জয়সওয়াল বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের জীবনধারা ও সংস্কৃতি যেমন এক, তেমনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্কও অত্যন্ত চমৎকার। সিলেটের আমদানিকারকরা ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে কয়লা, পাথর ইত্যাদি কাঁচামাল আমদানি করে থাকেন, কিন্তু সমগ্র ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য আরো অনেক পণ্য আছে। সিলেটের আমদানিকারকগণ ভারত থেকে এসব পণ্য আমদানি করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আরো প্রসার ঘটাতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে সিমেন্ট ও খাদ্যদ্রব্য ভারতে রপ্তানি হয়, বাংলাদেশী রপ্তানিকারক ভারতে প্লাস্টিক পণ্যও রপ্তানি করতে পারেন।
তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
অতিথিরা আরো বলেন, বৃহত্তর সিলেটে ১২টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে, যা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই ভারতের নর্থ-ইস্ট ও সিলেটের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তোলা খুবই জরুরী।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি সাঈদ চৌধুরী টিপ, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচলক হিজকিল গুলজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, ডা. নাসিম প্রমুখ।