নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপের অঙ্গীকার নিয়ে হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানে প্রতীক থিয়েটারের সহযোগীতায়,
সেড বাংলাদেশ, বাপা ও কারিতাস বাংলাদেশের সমন্বয়ে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও সভাপতিত করেন ফিলিপ গাইন, পরিচালক, সেড বাংলাদেশ।
১ম অধিবেশনে অতিথিবরণ এবং চা বাগানের লেবার লাইন পরিদর্শন।
অনুষ্টানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেড বাংলাদেশের ডোনার প্রতিনিধি মি. দানিয়েল জার্মানি, ফিলিপ গাইন, পরিচালক,
সেড বাংলাদেশ, তাহমিনা বেগম গিনি, বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও লেখিকা, চয়ন চক্রবতি, জুনিয়র কর্মসূচি কর্মকর্তা (সক্ষমতা প্রকল্প) কারিতাস সিলেট অঞ্চল, মশিউর রহমান, মাঠ কর্মকর্তা, ফিল্ড এনিমেটর নরেন্দ্র পাত্র ও সুমন সরকার।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউ পি মেম্বার কার্তিক চন্দ্র বাক্তি, নারী উন্নয়ন সংগঠনের সদস্য, চা বাগানের নারী চা শ্রমিক, সাংবাদিক ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ।
ফিলিপ গাইন বলেন,
বিশ্বব্যাপী নারী পিছিয়ে। তারা সম্পদ থেকে বঞ্চিত, মজুরি বঞ্চনার শিকার এবং সহিংসতা তাদের নিত্যসঙ্গী।
ঘরে বাইরে তাকে কাজ করতে হয় অনেক বেশি, কিন্তু তার কর্মপরিবেশ অনেক ক্ষেত্রে অশোভন এবং অনেক কষ্টের। প্রযুক্তির সুফল তাদের কাছে সমানভাবে পৌঁছায় না।দীর্ঘদিনের চর্চা, আইনি বৈষম্য এবং সামাজিক ও ধর্মীয় শাসন এসবে ইন্ধন যোগায়।
বাংলাদেশের নারী চা শ্রমিকের প্রতি অন্যায় ও বৈষম্য আরো বেশি। এদেরকে প্রতিদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি দিতে হয়।সহ্য করতে হয় সীমাহীন দূর্ভোগ।
সেড বাংলাদেশের ডোনার প্রতিনিধি মি.দানিয়েল জার্মানি বলেন, আমারা জার্মানি, বাংলাদেশ সহ আরো আঠ টি দেশে কাজ করছি।আমি এখানে চা শ্রমিকদের পাশে এসে আসলেই অনেক আনন্দিত ও গর্বিত। চা বাগানে নারী দিবস হয় সেটা ভাবতে পারিনি।
নারী উন্নয়নের কাজ দেখে আমি খুবেই মুগ্ধ। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা প্রতি বছর এইভাবে সম্মানের সাথে দিবসটি পালন করে যাবেন। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি।
কারিতাস বাংলাদেশের পক্ষে, চয়ন চক্রবতি বলেন, চা বাগানের নারীর প্রতি অন্যায় ও বৈষম্য প্রতিরোধ করার জন্য চা বাগানের নারী পুরুষ সকলকে সম্বনয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
নারীর প্রতি সম্মান রেখে জীবন যুদ্ধে যেসকল নারীরা সংগ্রামী সেই সকল ১০ জন নারীকে আমরা সম্মাননা স্বারক প্রদান করবো। পরিশেষে নারীর জীবন মান উন্নয়নে কারিতাস বাংলাদেশ (সক্ষমতা প্রকল্প) পাশে ছিলাম এবং সবসময় থাকবো।
২ য় অধিবেশনে চা শ্রমিকদের কষ্টকর কথা, চা বাগানী গান, ঝুমুর নাচ, লাঠি নাচ, ও সেড বাংলাদেশর বিভিন্ন আলোকচিত্র পদর্শন করা হয়।
" ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন"
এই উক্তিটিকে সামনে রেখে সাংস্কৃতিক অনুষ্টান, কারিতাস ও বাপা কর্তৃক ২০ জন নারী চা শ্রমিকে সম্মানন প্রদান এবং প্রতীক থিয়েটার পরিচালিত নাটক, ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের মাধ্যমে অনুষ্টানটির সমাপ্তি হয়।