
২০২৩-০৩-০২ ১৬:৪৩:২১ / Print
পুরোদমে চলছিল বিয়ের সকল আয়োজন। বিয়েকে কেন্দ্র করে গ্রামেট ছুল উৎসব মুখর।
বর এসেছিলেন বৌ নিতে কনের বাড়িতে। কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
তিনি বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হলে উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে পড়ে। তিনি মেয়ের বয়স ১৮বছর পূর্ণ না হওয়ার পরও মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে ওই কিশোরীর পরিবারকে দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করাসহ ১৮বছর পূর্ণ হবার পর মেয়ের বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেন।
বুধবার(১লা মার্চ) বিকেলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা এই অভিযান চালান। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের এই ঘটনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও জানতে পারেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে ১৮ বছরের নীচে এক কিশোরী বিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পরে বিকেলে ওই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। সরকারী নিদের্শনা অমান্য করায় ওই কিশোরীর পরিবারকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাথে সাথে ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না মর্মে তার পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা জানান,সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কিশোরীকে তার পরিবার বিয়ে দিচ্ছে জানতে পেরে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করি। তিনি আরও জানান,ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কিশোরীর পরিবারকে দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং মেয়েকে বাল্য বিবাহ দেবেন না মর্মে মুচলেকা আদায় করা হয়। এছাড়াও তারা তাদের কাজের জন্য অনুতপ্ত ও ভবিষ্যতে এধরণের কাজ থেকে বিরত থাকবেন ও সবাইকে বিরত থাকার পরার্মশ দিবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।