
২০২৩-০২-২০ ০১:৪৩:২৮ / Print
কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন (৭) নামে এক শিশুকে অপহরণের দুইদিন পর হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার একটি বাজার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাতের এ ঘটনায় সহায়তার অভিযোগে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, কিশোরগঞ্জের ইটনার প্রয়াত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. আবুল কাশেম (৪৫) ও তার স্ত্রী মোসা. সামিয়া আক্তার (৩০)।
উদ্ধার আল মামুন ওই উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের ছেপাড়া গ্রামের মো.আবদুস সামাদের ছেলে। দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হবিগঞ্জের আবুল বাশার নামে এক শ্রমিক আ. সামাদের কৃষি জমিতে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতে আসেন।
কাজ শেষে রাতে তিনি শ্যালো মেশিন ঘরে ঘুমাতেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শ্রমিক বাশার গৃহকর্তা সামাদের শিশু ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুনকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান।
খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত শুক্রবার দেবিদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন জেলায় অভিযান শুরু করে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হাসান জানান, প্রথমে আসামি আবুল বাশারকে চিহ্নিত করা হয়। বাশার খুবই চতুর লোক হওয়ায় ঘন ঘন লোকেশান পরিবর্তন করেন।
তিনি ওই শিশুটিকে প্রথমে গাজীপুরের টঙ্গীতে তার বোনের বাসায় নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জে তার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে অভিযান চালানো হলে টের পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এক পর্যায়ে তার পৈত্রিক বাড়ি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের পিটুয়ারকান্দি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে শিশু আবদুল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। পরে সেখান থেকে ওই শিশুকে দেবিদ্বারে নিয়ে আসা হয়।
এসআই নাজমুল বলেন, অপহরণে সহায়তার অভিযোগে টঙ্গী থেকে কিশোরগঞ্জের ইটনার মো. আবুল কাশেম (৪৫) ও তার স্ত্রী সামিয়া আক্তারকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার বিকেলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। পরে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিশুকে উদ্ধার করা হলেও মূল আসামি আবুল বাশার পলাতক রয়েছেন। শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে