সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় আপন তিন ভাই ও ভাতিজাদের মারপিঠে নুরুল আমিন(৬০) হত্যার ঘটনায় চার আসামিকে আটক করেছে র্যাব।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান। তিনি জানান,ঢাকার ফকিরাপুল এলাকা থেকে র্যাব তাদের আটক করে।
গত ১৯ জানুয়ারী) সকাল ৮টায় উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০ জানুয়ারী সকালে নিহতের ছেলে
তাসকিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরও আসামী করে তাহিরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্য,উপজলোর দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত তাহের আলীর দুই পরিবারের
মধ্যে এক পরিবারে চার সন্তান ও অপর পরিবারে দু সন্তান রয়েছে।
নুরুল আমিন(৬০),নুরুল হক(৭০),শাহ আলম(৫০),শাহজাহান (৫৫) চার ভাই। র্দীঘ দিন ধরে পিতার সম্পত্তির ভাগ না দেওয়া নিয়ে নুরুল আমিনের সাথে ঝগড়া লেগইে থাকত
তার আপন অপর তিন ভাইদের মধ্যে। একাধিক বার বিচার শালিসি হলেও কোনো সমাধান
হয়নি। কিছু দিন র্পূবে নুরুল আমিনের বোরো জমি নষ্ট করে ভাই নুরুল হক(৭০),শাহ আলম(৫০),শাহজাহান (৫৫)তাদের ছেলে মেয়েরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় নিজ বাড়িতে নুরুল আমিনের অপর সৎ ভাই শাহ পরান বাড়িতে নতুন ঘরের পালা লাগাতে গেলে বাধা দেয় নুরুল হক(৭০),শাহ আলম(৫০),শাহজাহান (৫৫) ও তাদের ছেলে মেয়েরা।
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কথা-কাটাকাটির এক র্প্রযায়ে নুরুল হক,শাহ আলম ও শাহজাহান ও তাদের ছেলে মেয়েরা মিলে লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে ও কিল-ঘুষি দিয়ে নুরুল আমিনকে মারতে থাকপ। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাধা দিলেও থামাতে পারেনি। এক র্প্রযায়ে নুরুল আমিন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে পরিবার লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এশার নামাজের পর রাত সাড়ে আটটায় নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।