বিজিডি কার্ডধারী সুবিধা বঞ্চিত দুই মহিলার সাত মাস ধরে চাল না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার(১৮ জানুয়ারি) ধর্মপাশা উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।
মামলার আসামী করা হয়েছে,উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নুরনবী তালুকদার (৫০) পিতা মৃত মিরাজ আলী, সাং রুপনগর ও ইউপি সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩০) পিতা খোরশেদ আলম সাং রামপুর।
ভুক্তভোগী ও মামলার বাদীরা হলেন,উপজেলার উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী বিজিডি কার্ডধারী সুবিধাভোগী মোছাঃ আয়েশা খাতুন
(৪১) কার্ড নম্বর ৯০ ও বঞ্চিত অপর ব্যক্তি একই গ্রামের মোঃ আব্বাছ আলীর স্ত্রী মোছাঃ রোহেলা খাতুন (৪৯) কার্ড নম্বর ৭৭।
সুবিধা বঞ্চিত মোছাঃ আয়েশা খাতুন ও মোছাঃ রোহেলা খাতুন বলেন,আমরা গরিব অসহায় বিজিডির চাল আমাদের এক মাত্র অবলম্বন,
প্রতি মাসে ৩০কেজি চাউল পাই ওই চাউল দিয়ে৷ কোনো রখমে সংসারের চাহিদা মিটে। কিন্তু চেয়ারম্যান নুরনবী ও তার
অনুসরনকারী ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বিগত সাত মাস ধরে আমাদেরকে বিজিডির চাল না দিয়ে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আমরা বিচার পেতে আদালতের দারস্থ হয়েছিল। আশা করছি আদালতে ন্যায় বিচার পাব।
এব্যাপারে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী তালুকদারের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই বিষয়টি নিয়ে একটি বড় ইতিহাস আছে আর এখন আমি মিটিংয়ে আছি। পরে এই বিষয়ে কথা বলবো।