দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সিলেট সেনানিবাসের ৯১ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স ও সিএমএইচ সিলেট এর
সহায়তায় কর্মসূচীর আয়োজন করে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ(জেসিপিএসসি)। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ ২০২২-২০২৩ এর সমাপনী দিবস উপলক্ষে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার আলহাজ্ব আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চক্ষুসেবা প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়।
আজ ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে সেবা কার্যক্রম শুরু হয়। দিনব্যাপী কর্মসূচীতে বয়স্ক নারী- পুরুষ ও বিভিন্ন বয়সীদের চক্ষুসেবা প্রদান করা হয়। সেবাগ্রহীতাদের মাঝে বিনামূল্যে ঔষধ ও চশমা বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিপিএসসি’র পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক বিগ্রেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ মাওলা ডন, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেসিপিএসসির অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান, পিএসসি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯১ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারহানা,
সিএমএইচ এর চক্ষুবিশেষজ্ঞ মেজর শাফিকা ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, " সৃষ্টিকর্তা তাঁর অসীম প্রজ্ঞা ও ভালোবাসা দিয়ে মানুষের কল্যাণে অপূর্ব সুন্দর করে সমগ্র সৃষ্টিজগত সৃষ্টি করেছেন। আর মানুষকে বানিয়েছেন আপন মহিমায়।
কিন্তু দুঃখজনক হলো জন্মগত, বয়স্কজনিত কিংবা অসুস্থতাজনিত কারণে অনেকে দৃষ্টিহীন বা ক্ষীণদৃষ্টিতে দিনাতিপাত করেন। ফলে কেউ সুন্দর পৃথিবী দেখা থেকে বঞ্চিত হন।
আবার কেউ জীবন ধারণ করেন সীমাহীন কষ্টে। আমরা তাদের দুঃখে সমভাবে ব্যথিত। তাই আমাদের পক্ষ থেকে আজকের এই চক্ষুসেবা কর্মসূচি একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।"
তিনি আরও বলেন, "জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীতকালীন প্রশিক্ষণ আর জেসিপিএসসির জনকল্যাণমূলক সেবার উপহার হলো আজকের চক্ষুসেবা প্রদান কর্মসূচি।
সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই কর্মসূচি চলছে এবং চলবে।"
জেসিপিএসসির অধ্যক্ষ বলেন, " জেসিপিএসসি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষা দান করেই ক্ষান্ত নয়, আর্ত-মানবতার সেবায় জনকল্যাণমূলক কাজে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছে।
২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ৫০০ পরিবারে মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে। এছাড়া গরীব দুস্থদের মাঝে শীতকালীন বস্ত্র ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে।
আমরা সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। আমাদের এই হিতকর সেবা সবসময় অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।"