২০২২-১২-০২ ০৯:১৮:০২ / Print
সুনামগঞ্জ জেলা শহরের অভ্যন্তরে সাতটি খাল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ ১৩ ব্যক্তিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষ থেকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সাতটি খাল গুলো হল,সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া খাল,ধোপাখালী খাল, কামারখাল,বলাইখালী খাল,বড়পাড়া খাল,নলুয়খালীখাল ও গাবরখালী খাল। বৃহস্পতিবার(০১নভেম্বর) ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান বেলার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।
খাল উদ্ধারে যাঁদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন-ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর বিভাগ-১) নির্বাহী প্রকৌশলী,
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। নোটিশে বলা হয়েছে,দেশের অন্যান্য নদী-খালের মতো এ খালগুলো দখল হয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। একসময় সাতটি খালেই নৌকা চলাচলের পাশাপাশি শহরের পানি নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিল।
খাল দখলমুক্ত করতে স্থানীয় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন জানালেও এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। qদখলের কারণে খালগুলো সরু নালায়,কোথাও কোথাও খালগুলো প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় শহরের পানি নিষ্কাশন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে শহরের জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগে চরম আকার ধারণ করে।
কামারখাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল ও বলাইখালী খাল দখল করে গড়ে উঠেছে বড় বড় পাকা ভবন, দোকানপাট,স্থাপনা, রাস্তা ও বিদ্যুৎকেন্দ্র। সুনামগঞ্জ শহরে দখল-দূষণ ও অস্তিত্ব সংকটে পড়া খাল গুলো উদ্ধারের আইনি নেটিশকে স্বাগত জানিয়ে জেলা শহরের বাসিন্দা আরিফুর রহমানসহ সচেতন মহল বলেন,শহরের খাল গুলো উদ্ধার করা খুবেই প্রয়োজন শহরের বসবাকারী বাসিন্দাদের জন্যই।
বন্যায় শহরের পানি নিষ্কাশনে মূল ভূমিকা পালন করবে এতে বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে না চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তিপাব। এবছর বন্যার যে পরিমান দূর্ভোগে শিকার হয়েছে তা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত দায়িত্বশীলদের। বেলার সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক আইনজীবী শাহ শাহেদা আক্তার বলেন,খাল গুলো উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ করে দাবি জানালেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার কারণেই এই আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এরপরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত জানান,জনস্বার্থেই শহরের খাল গুলোর অনেক জায়গা উদ্ধার করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়েছে। বিশেষ করে বষায় ও বন্যার সময় শহরের বাসিন্দাদের দূর্ভোগ লাগবের জন্য খাল গুলো সচল থাকলে দূর্ভোগ কম হত তাই সেই দিক বিবেচনা করে খাল উদ্ধারে আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত আছে।