২০২২-০৮-১৯ ১৩:২১:৪৮ / Print
অধ্যাপিকা হামিদা রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি সিলেট জেলা কমিটির উদ্যোগে এক স্নরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৯ আগস্ট বিকাল ৫টায় সংগঠনের ইসলামপুরস্থ (মেজরটিলার) অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা কমিটির আহবায়ক মিনারা বেগমের সভাপতিত্বে এবং সুহাদা বেগম তান্নির পরিচালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
সভার শুরুতে অধ্যাপিকা হামিদা রহমানের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর হামিদা রহমানের জীবনী পাঠ করেন সোনিয়া আক্তার। অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুরুজ আলী ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন: বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাদেক মিয়া ,জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরাণ থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন ,
সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী পটু, সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী , জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা শাখার অন্যতম নেতা শুভ আজাদ শান্ত । অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন: গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি সিলেট জেলা কমিটির অন্যতম নেত্রী রেহানা পারভীন,
আখলিমা বেগম , তমা বেগম, ফারজানা ইসলাম জুমু, ইমরানা ইমু সহ প্রমুখঃ বক্তারা বলেন, অধ্যাপিকা হামিদা রহমানের মৃত্যু পরবর্তীকালে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি নারীমুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশের নারী সমাজের সমস্যা-সংকট এবং শ্রমিক কৃষক মেহণতি মানুষের অধিকার আদায়ে সংগঠিতভাবে প্রচার সংগঠন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে চলছে ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন; বাংলাদেশের নারী সমাজ তথা শ্রমিক-কৃষক-জনতার দুঃখ কষ্ট ,সমস্যা সংকট ,শোষণ লুন্ঠন, নিপীড়ন-নির্যাতনের কারণ হচ্ছে প্রচলিত নয়া উপনিবেশিক-আধাসামন্তবাদী আর্থ ব্যবস্থা । এর জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদ,সামন্তবাদ ও আমলা-মুৎসুদ্দি পুজিঁকে উচ্ছেদ করে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল করে মুক্ত সমাজ গড়ার মাধ্যমে নারী মুক্তি অর্জিত হতে পারে ।
অথচ এই সত্যকে আড়াল ও অস্বীকার করে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল শাসক-শোষক গোষ্ঠী এবং এনজিও’ রা নারী ও পুরুষের মধ্যকার বিভক্তি বৃদ্ধি করে জনগণের ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
উগ্রবাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার ফাঁদে ফেলে জনগণকে বিভক্ত ও বিভ্রান্ত করছে এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের নারী সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে নারী মুক্তির লক্ষ্যে এই তিন শত্রুকে উৎখাত করে জাতীয় গণতান্ত্রিক সরকার ,রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সাথে নারী পুরুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রাম অগ্রসর করে বিজয় ছিনিয়ে আনা ।
অধ্যাপিকা হামিদা রহমানের এই মতাদর্শ ও রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং বিপ্লবী বিকল্প ধারাকে অগ্রসর করার জন্য গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পতাকাতলে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।