শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইংরেজী, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষকদের মানোন্নয়নে কর্মশালা অনুষ্টিত

সিলেট সান ডেস্ক::

২০২২-০৮-১৪ ০৪:০৭:৪৬ /

শিক্ষকদের কার্যকরী শ্রেণি ব্যবস্থাপনা, ক্লাস পরিচালনা ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ওয়ার্কশপ অন কোয়ালিটি এডুকেশন-২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়। সেনাসদর ও সিলেট এরিয়া সদরদপ্তরের দিক-নির্দেশনায় ওয়ার্কশপের আয়োজন করে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (জেসিপিএসসি)। গত ১৩ আগস্ট শনিবার সকাল ৯টায় প্রতিষ্ঠানের অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিপিএসসি’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়ার কমান্ডার মেজর জেনারেল হামিদুল হক, এনএসডব্লিওসি, পিএসসি। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিপিএসসি’র পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক বিগ্রেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ মাওলা ডন, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক একেএম মাজহারুল ইসলাম ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট মোছা. ফজিলাতুন নেছা শাপলা। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং বর্তমান সরকারের প্রণীত শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। জাতীয় জীবনে উপযুক্ত শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত উৎকর্ষ আনয়ন শিক্ষকের সুষ্ঠু পেশাগত শিক্ষার উপর নির্ভরশীল। শিক্ষকতা শুধু পেশা নয় বরং এটি একটি সেবা। যা শিক্ষককে মৃত্যুর পরও সম্মানিত করে। শিক্ষক জাতি তথা আদর্শ মানুষ গড়ার অনুঘটক। তাই তিনি আমাদের অন্তরাত্মায় অক্ষয় হয়ে থাকেন। শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে এমনভাবে পাঠদান করবেন শিক্ষার্থী তার পাঠে অংশগ্রহণ করার জন্য অসুস্থতাকে ভুলে ক্লাসে আসতে অস্থির হবে।' তিনি বলেন, 'শিক্ষার গুণগতমান উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। একজন শিক্ষককে তার নিজের বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই চলবেনা সে সঙ্গে পাঠ্যবিষয়সমূহের উপর গভীর জ্ঞান, শিক্ষণ কৌশল ও প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। তাঁকে শিক্ষাবিষয়ক নিয়ম, প্রক্রিয়া, শিক্ষাতত্ত্ব সম্পর্কিত কর্মশালা, শিক্ষা ও শিশু মনোবিজ্ঞান, শিক্ষাদানের আধুনিক পদ্ধতি ও মূল্যায়ন কৌশল জানতে হবে। প্রশিক্ষণ হচ্ছে একজন ব্যক্তির জ্ঞান, দক্ষতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটানো। অজানাকে জানা আর জানার পরিধিকে আরো বিস্তৃত, নান্দনিক ও তেজস্বী করে তোলাই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য।' বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেসিপিএসসি’র সভাপতি বলেন, ' শিক্ষক হবেন জ্ঞান অর্জনের সারথি। তাকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী ও সুন্দর মার্জিত ব্যবহারের অধিকারী। যা শিক্ষার্থী আদর্শরূপে গ্রহণ করবে। শিক্ষক একজন অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব যাঁর মূল দায়িত্ব হলো শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা। এই সুষ্ঠু পরিবেশের মাধ্যমেই শিক্ষার্থী জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধ অর্জনের সুযোগ পায়। পরিবর্তিত জগতের নতুন জ্ঞান ও কলাকৌশল আয়ত্তে আনার সুযোগ শিক্ষার্থী তখনই পাবে যখন শিক্ষক তার অধীত জ্ঞানকে যথাযথ ও প্রায়োগিক কৌশল আয়ত্তের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পৌঁছে দিবেন।' কর্মশালার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে কর্নেল মোঃ কুদ্দুসুর রহমান, পিএসসি বলেন, 'প্রশিক্ষণ বা আলোচনা সাধারণত শিক্ষকের বর্তমান দায়িত্ব সুচারুভাবে এবং কর্মসমূহ দক্ষতার সাথে সম্পাদনের পদ্ধতি ও কৌশল শিক্ষা দেয় এবং শিক্ষকের ভবিষ্যৎ দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা যোগায়। একজন শিক্ষকের পবিত্র দায়িত্ব হবে তিনি তার শিক্ষকতা পেশায় গুণগত ও পরিমাণগত মানোন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন। কেননা পেশাগত দক্ষতা অর্জন ব্যতীত শিক্ষার কাঙ্খিত মান অর্জন করা সম্ভব নয়।' কর্মশালায় অতিথি বক্তাগণ ‘মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাদান’ ও ‘গুণগত শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রম’ বিষয়ে দুইটি সেশন পরিচালনা করেন। তাঁরা বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকতার একটা পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন অনেক কিছুই জানে এবং বুঝে বলে নিজেদেরকে মনে করে। এজন্য তাদেরকে কোন বিষয়ে জানেনা বা বুঝে না- এই ধরনের শাসন করলে তারা বিরক্তিবোধ করে এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। কাজেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের সময় তাদের এই মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষকতা কখনোই চাকরি হিসেবে নেবেন না। শিক্ষকতা একটি মহান ব্রত হিসেবে মনে করতে হবে। শিক্ষকরা কখনোই ক্ষমতা বা অর্থ এইগুলোকে প্রাধান্য না দিয়ে সম্মান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেই বেঁচে থাকার যে একটি আনন্দ সেটাই সব সময় তারা উপভোগ করবেন। এছাড়া জেসিপিএসসি’র প্রভাষক সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী 'পাঠ উপযোগী শ্রেণির পরিবেশ, পাঠ পরিকল্পনা, পাঠ উপকরণের কার্যকরী ব্যবহার ও পাঠদানকে আকর্ষনীয় করার কৌশল’; জেসিইএসসি’র সিনিয়র শিক্ষক আতিয়া আমাতুন নুর ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক এবং শিক্ষায় তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার’; এসসিপিএসসি’র প্রভাষক মোঃ আসাদুজ্জামান নয়ন 'শিক্ষাদান পদ্ধতি ও শিক্ষকদের প্রস্তুতি এবং পাঠদানে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ’- এ ৩টি বিষয়ের ওপর মাল্টিমিডিয়া প্রেজেনটেশনসহ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। উক্ত কর্মশালায় জেসিপিএসসি, এসসিপিএসসি এবং জেসিইএসসি’র মোট ২২০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। জেসিপিএসসি’র উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুল হান্নান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র প্রভাষক নাসির উদ্দিন আহমদ মামুন। সদস্য হিসেবে ছিলেন প্রভাষক মো. আরিফুর রহমান, প্রভাষক মোকারম হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মোজাম্মিল হোসেন, সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এ জাতীয় আরো খবর

হাইকোর্টের আদেশ: রোজায় বিদ্যালয় বন্ধ

হাইকোর্টের আদেশ: রোজায় বিদ্যালয় বন্ধ

সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকেও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল: নাসির উদ্দিন খান

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকেও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল: নাসির উদ্দিন খান

জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

 এসএসসি-সমমানে পরীক্ষার্থী ২০ লাখ, সিলেটে ১ লাখ ৯ হাজার

এসএসসি-সমমানে পরীক্ষার্থী ২০ লাখ, সিলেটে ১ লাখ ৯ হাজার

গৃহস্থালীর বর্জ্যে সার, শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক সিকৃবির ইফা ও অলিক

গৃহস্থালীর বর্জ্যে সার, শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক সিকৃবির ইফা ও অলিক