২০২২-০৭-২১ ২৩:৪৭:১০ / Print
অনেকে হার্ট অ্যাটাকই স্ট্রোক বলে মনে করে থাকেন। আসলে স্ট্রোক হলো ব্রেইনের জটিল অসুখ। মানুষের মৃত্যুর তৃতীয় কারণ এই স্ট্রোক। প্রথম কারণ হলো ক্যানসার এবং দ্বিতীয় কারণ হলো হ্যার্ট অ্যাটাক।
প্রতিবছর ১ লাখ মানুষের মধ্যে ১৮০ থেকে ৩০০ মানুষ স্ট্র্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকে। স্ট্রোক তিন ধরনের হয়ে থাকে-TIA, Progressing stroke Ges Complete stroke| TIA হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর Recovery সম্ভব।
Progressing stroke-এ রোগীর অবস্থা ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে। Completed stroke-এ রোগীর অবস্থা আগের মতোই থাকে বা কোনো ধরনের অবনতি হয় না। আবার স্ট্রোককে অন্যভাবে Classified করা যায়।
একটি হলো রক্তনালি ব্লক হয়ে স্ট্রোক বা Intracerebral infarction। অন্যটা হলো ব্রেইনের রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে Brain-এ রক্তক্ষরণ হওয়া। শতকরা ৮৫ ভাগ স্ট্রোক হয় রক্তনালি ব্লক হওয়ার কারণে এবং মাত্র শতকরা ১৫ ভাগ স্ট্রোক হয় রক্তনালি ছিড়ে গিয়ে ব্রেইনে রক্তক্ষরণের কারণে।
স্ট্রোকের কারণ : Ischaemic stroke-এর কারণ রক্তে কোলেস্টেরল বা খারপ চর্বির আধিক্য। Diabetes, sedentary worker এবং স্ট্র্রেসফুল job. তা ছাড়া হার্টের অসুখ থেকে ও stroke হতে পারে। Haemorrhagic stroke বা Brain রক্তক্ষরণ হয় High blood pressure বা উচ্চ রক্তচাপের জন্য। প্রতিরোধে করণীয় : Ischaemic stroke প্রতিরোধ করতে হলে রক্তের চর্বি কমাতে হবে।
সেই জন্য ভাত কম খেতে হবে, শাক সবজি, সালাদ বেশি খেতে হবে। বয়স্ক মানুষের গরু খাসির মাংস বর্জন করা একান্ত উত্তম। প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট জোড়পায়ে হাঁটতে হবে। তাছাড়া ধূমপান, মদ্যপান বর্জন করতে হবে।
আরHaemorrhagic stroke প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত High blood pressure-এর ওষুধ খেতে হবে। এক বেলা যেন ওষুধ মিস না হয়। প্রয়োজনে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ পকেটে বা ব্যক্তিগত ব্যাগে কিংবা অফিসের কর্মস্থল রাখতে হবে। কথায় বলে, এক বেলা ভাত না খেলেও চলে কিন্তু এক বেলা ওষুধ না খেলে মোটেও চলবে না।
stroke হয়ে গেলে কোনো নিউরোসার্জন বা নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিত অথবা বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
লেখক : অধ্যাপক, নিউরোসার্জারি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শাহবাগ, ঢাকা
চেম্বার : ধানমন্ডি ল্যাবএইড হসপিটাল ০১৭১১৩৫৪১২০