
২০২২-০৬-২২ ১৩:৩২:৫৮ / Print
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক থেকে আমরা ভিক্ষা নেই না, ঋণ নেই এবং সুদসহ তা শোধও করি। বিশ্বব্যাংকের কাছে আমরা ভিখারি নই। আমরা কিন্তু বিশ্বব্যাংকের অংশীদার।
তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আজ বুধবার দেশের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও জাইকার প্রতিক্রিয়া কী? তাদের দুঃখ প্রকাশ করা উচিত কিনা- ফরিদা ইয়াসমিনের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা আছে, নিজের ভার ভালো না, গোয়ালার ঘির দোষ দিয়ে লাভ কী? পদ্মা সেতুর ঋণটা আসলে কেন বন্ধ হয়েছিল?
আমাদের ঘরের (দেশের) কিছু লোকের জন্যই কিন্তু। তিনি বলেন, আমি বরং বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, এটা (ঋণ বন্ধ) ঘটেছিল বলেই আমরা এটা (পদ্মা সেতু) করতে পেরেছি। আমাদের একটা ধারণা ছিল, আমরা নিজেদের টাকায়, নিজেরা কিছু করতে পারি না।
একটা পরমুখাপেক্ষিতা, দৈন্যতা ছিল। (বিশ্বব্যাংক ফিরিয়ে দেওয়ার কারণে) আমাদের সেই ধারণা বদলে গেছে। এর আগে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করেছিল। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আমি ১৯৯৭ সালে জাপান সফর করি।
পদ্মা ও রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করি। তারা (জাপান) রাজি হয়। ২০০১ সালে পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষার তথ্য আমাদের দেয়। সমীক্ষায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচন করা হয়।
২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে আমি মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে আমরা সরকারে আসতে পারিনি। ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মাওয়া প্রান্তে সেতু নির্মাণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং জাপান সরকারকে পুনরায় মানিকগঞ্জের আরিচা প্রান্তে পদ্মা সেতুর জন্য সমীক্ষা করতে বলে।
দ্বিতীয়বার সমীক্ষার পর জাপান মাওয়া প্রান্তকেই নির্দিষ্ট করে সেতু নির্মাণের রিপোর্ট পেশ করে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে আমরা আবার সরকারের দায়িত্বে এসে পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করি।