কোম্পানীগঞ্জে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বেড়েছে দুর্ভোগ। লোকজন ঘরের ভেতরে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করছেন। ঘরের মালামাল গোছাতে শুরু করেছেন। বাসাবাড়ি ছেড়ে যারা আত্মীয়স্বজন ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের অনেকেই নিজ ঠিকানায় ফিরেছেন। তবে কিছু কিছু এলাকার বাড়ি-ঘরে এখনও পানি রয়েছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাট এখনো পানিতে ডুবে রয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা দুর্ভোগে রয়েছেন।
শিমুলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ফজলুর রহমান জানান, এখনও ঘরের ভেতর পানি রয়েছে। তবুও বাসায় ফিরে এসেছি। এখন কষ্ট আরও বেড়েছে। ঘরের চারপাশে ময়লা জমেছে। এসব পরিষ্কার করতে হচ্ছে। ঘরের আসবাব, মালামাল গোছাতে সময় দিতে হচ্ছে। রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং বলেন, বন্যার্তদের জন্য আমাদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ৩২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। ৮০০ পরিবারকে শুকনো খাবার প্রদান করা হয়েছে। ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার শিশু খাদ্য ও জিআর ক্যাশ ১ লক্ষ টাকা দিয়ে তেল, ডাল, আলু ও লবণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় আরও ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এ থেকে ২ লক্ষ টাকা খরচ করে চিড়া ও গুড়ের ১১৫০ প্যাকেট প্রস্তুত করে বানভাসিদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।