২০২২-০৫-১৯ ১৯:৩৯:০৮ / Print
অমর একুশের গানের রচয়িতা বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীকে দেশের মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
আবদুল গাফফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ি তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে শায়িত করা হবে বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্টজন ও যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমেদ খান।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত রোগে ভুগছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই প্রখ্যাত সাংবাদিক। তবে এপ্রিল মাসের শুরু থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কোভিড আক্রান্ত হয়ে।
মৃত্যুকালে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর বয়স ছিলো ৮৮। তিনি ১৯৩৪ সালে ১২ ডিসেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহন করেন।
আবদুল গাফফার চৌধুরী মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে ভীড় করেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। হাসপাতালে আবদুল গাফফার চৌধুরীর মেয়ে তনিমা চৌধুরী, ইন্দিরা চৌধুরী, চিন্ময় চৌধুরী, ছেলে অনুপম চৌধুরী এসে উপস্থিত হন।
এরপরই বার্নেট হাসপাতালে উপস্থিত হন সাবেক মন্ত্রী শামসুল ইসলাম টুকু, ব্রিটেনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক,
যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা, যুবলীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জামাল খানসহ আরো অনেকে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিশ্চিত করে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ মিশন প্রধান সাইদা মুনা তাসনিমের সাথে যোগাযোগ করে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনেছেন।
আনোয়ারুজ্জামান জানান, তিনিসহ সাবেক মন্ত্রী শামসুল ইসলাম টুকু, হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক মরদেহ দেখেছেন, ফাতিহা পাঠ করে দোয়া করেছেন।
গাফফার চৌধুরীর ছোট মেয়ে বিনীতা চৌধুরী ১৩ এপ্রিল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর আগেই গাফফার চৌধুরী কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হন।
পূর্ব লণ্ডনে ব্রিকলেন জামে মসজিদে ২৯ এপ্রিল মেয়ে বিনীতা চৌধুরীর জানাযায় তিনি অংশ নিতে পারেননি।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান নিশ্চিত করেন আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকে মরদেহ হাসপাতাল থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করা হলে শুক্রবার ব্রিকলেন মসজিদে জুম্মার নামাজের পর’ জানাযা অনুষ্ঠিত হবে,
তারপর দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মরদেহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য শহীদ মিনারে রাখা হবে।
সেক্ষেত্রে শনিবারে ফ্লাইট পাওয়া গেলে বাংলাদেশে মরদেহ পাঠানো হবে। রবিবারে বাংলাদেশে মরদেহ পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।